ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল


ঢাকা : শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কাকরাইলের শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীসহ হাজির হন ড. ইউনূস। পরে সাজার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান। কিন্তু স্থায়ী জামিন না দিয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ২৩ পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল। ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর সকাল ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ১১ মার্চ ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন আদালত। লিখিত আদেশে বলা হয়, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ড. ইউনূস জামিনে থাকবেন। ওই দিন তিনিসহ চারজনকে ফের হাজির হতে হবে। আদালত আরও বলেছিলেন, ১৬ এপ্রিল আপিল শুনানির দিন ধার্য করা হলো। একইসঙ্গে শ্রম আদালত থেকে পাঠানো মামলার এলসিআর গ্রহণ করা হলো।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন এই নোবেলজয়ী। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন এই অর্থনীতিবিদ।