মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

রেলের সেই মৃধা জামিনে মুক্ত

প্রকাশিতঃ ৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১:১৯ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম: সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে টাকার বস্তাসহ ঢুকে পড়া গাড়িতে থাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (পরে বরখাস্ত) ইউসুফ আলী মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

রোববার রাত আটটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, মৃধার সাজা হওয়া মামলা এবং বিচারাধীন ১৪টি মামলায় জামিননামা কারাগারে আসে বিভিন্ন সময়ে। হাইকোর্ট এবং চট্টগ্রাম আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এসব জামিননামা যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারও।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে।

এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক। এরমধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ অগাস্ট ফুয়েল চেকার পদের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সেসময়ের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট সহকারী কেমিস্ট পদের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পন করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।

রেলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মৃধাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল রায় দেন আদালত। রেলের সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির দুই মামলায় মৃধাসহ তার দুই সহযোগীর চার বছর করে (প্রতিটিতে দুই বছর) কারাদণ্ড দেন আদালত।

নিয়োগে দুর্নীতির বাকি ১১টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার বিচার চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। পাঁচটি মামলায় দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে আদালতে। বাকি দুটি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি।