সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিতঃ ৪ অক্টোবর ২০১৭ | ১০:৩৯ অপরাহ্ন

মোর্শেদ নয়ন : দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী গণপরিবহনে নৈরাজ্য এবং বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।

গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ রুটে। নানা অজুহাতে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই গাড়ির চালক ও সহকারীদের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা লেগেই থাকে। প্রায় সময় চালক-সহকারীর হাতে যাত্রীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

পটিয়ার বাসিন্দা তাওহীদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবাহী বাসগুলো ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। সন্ধ্যা হলে শাহ আমানত সেতু এলাকায় পটিয়ার গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই যাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়েন। এতে ২০ টাকা ভাড়ার স্থলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে পটিয়া আসতে হয়।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জী একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ব্যাপারে নানা অভিযোগ আছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মাফিক ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগও পাচ্ছিলাম। গণপরিবহনে শৃংখলা আনতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের যানবাহন ছাড়ে মইজ্জারটেক থেকে। এসব রুটে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজারো মানুষ।

এদিকে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জী। মইজ্জারটেক ও কলেজ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাত চালককে জরিমানা করেছেন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জী একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে সবাইকে সতর্ক করেছি। বার্তা দিচ্ছি, সবাইকে আইন মানতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। ইচ্ছে মাফিক ভাড়া আদায় করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’

গণপরিবহনে শৃংখলা না আসা পর্যন্ত নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী।