ঢাকা : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মিজানুরের আপিল হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।
মামলায় গত বছরের ২১ জুন রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬। আইনজীবীদের তথ্যমতে, রায়ে সম্পদের তথ্য গোপন, আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের জন্য মিজানুরকে ৩ বছর, ৬ বছর ও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে কারাদণ্ড হয় ১৪ বছরের। তবে সব সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর আপিল করেন মিজানুর। হাইকোর্টে মিজানুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী পারভীন সুলতানা ও সিফাত মাহমুদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট মিজানুরের আপিল খারিজ করে রায় দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ে তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আপিল খারিজ হওয়ায় এই সাজা বহাল রইল। তবে তিনটি সাজা (৩ বছর, ৬ বছর ও ৫ বছর) একসঙ্গে চলবে বলে বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়। ফলে এ মামলায় তাঁকে ছয় বছর কারাভোগ করতে হবে। দুর্নীতির মামলায় এই প্রথম পুলিশের কোনো পদস্থ কর্মকর্তার (বরখাস্ত হওয়া) সাজা উচ্চ আদালতে বহাল থাকল।
মিজানুরের আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, সম্পদের বিষয়ে কিছু স্পষ্টীকরণের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট আপিলটি খারিজ করেছেন। অন্য একটি মামলার রায়ের কয়েকটি পাতা এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে হুবহু উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাঁরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।