মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

ধর্ষণের দায়ে সাড়ে ৪ বছর কারাদণ্ড দানি আলভেসের

প্রকাশিতঃ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ৪:৩৯ অপরাহ্ন

খেলাধুলা ডেস্ক : ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দানি আলভেজের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বার্সেলোনা এবং ব্রাজিলের সাবেক এই তারকা ফুটবলার। আর তাতেই স্পেনের আদালত আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের ফুটবলার আলভেজের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে আটক করে বার্সেলোনা পুলিশ। এরপর প্রায় এক বছর ধরে কারাগারেই আছেন এই ফুটবলার।

এদিকে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বার্সেলোনার আদালত রায়ে বলেছেন, ‘ভুক্তভোগী সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

সাড়ে চার বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে আলভেজকে দেড় লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। সেই অর্থ পাবেন নিপীড়নের শিকার ওই নারী।

বাদী ওই নারীর অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে তাকে ধর্ষণ করেন আলভেজ। এই অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই বার্সেলোনার একটি কারাগারে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার।

স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নৈশক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেজ নাকি তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেজ তাকে চড় মারেন এবং নৈশক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আলভেজ বলেন, তিনি ভুক্তভোগীকে চিনতেন না। পরে বলেছেন, ক্লাবের বাথরুমে তার সঙ্গে পরিচয় এবং কিছুই হয়নি। যখন বায়োলজিক্যাল প্রমাণের মুখোমুখি হন তখন নিজের ভাষ্য আবারও পরিবর্তন করেন। তখনও শারীরিক সম্পর্কের কথা পুরোপুরি স্বীকার করেননি।

তারপর গত এপ্রিলে বায়োলজিক্যাল পরীক্ষার ফল এলে আলভেজ প্রথমবার স্বীকার করেন যে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি। আরও জানান, স্ত্রীর কথা ভেবে শুরুতে মিথ্যা বলেছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি আলভেযের সঙ্গে নাচছিলেন এবং স্বেচ্ছায় একটি বাথরুমে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি বের হতে চাইলেও আলভেজ তাকে সেটা করতে দেননি। তখন তাকে চড়, নির্যাতনসহ ধর্ষণ করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তখনকার ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী জোয়ানা সানস।

ব্রাজিলের হয়ে আলভেজ খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি।