চট্টগ্রাম: অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও প্যাথলজিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান পাওয়ায় মেডিকেল সেন্টার নামে চট্টগ্রামের বেসরকারি একটি ক্লিনিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে অবস্থিত ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্লিনিকটিতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এরমধ্যে জীবন রক্ষাকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া যায়, যার মেয়াদ পার হয়ে গেছে ৬ মাস থেকে এক বছর আগেই।
এসব অপারেশনে ব্যবহার করলে মৃত্যু ঘটারও সম্ভাবনা থাকে বলে জানান উপস্থিত মেডিকেল অফিসার এবং সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. নুরুল রায়হান।
প্যাথলজির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব ওষুধ ও রাসায়নিক উপাদান জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুনবলেন, ‘ফার্মেসিতে যে অষুধ সংরক্ষণ করা হচ্ছে তা ২৫ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও ওষুধগুলো ৩২ থেকে ৩৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা ছিল। এতে অষুধের গুনাগুন নষ্ট হয়ে তা বিষাক্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। এভাবে ওষুধ রাখা ওষুধ আইন ১৯৪০ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
‘এ ছাড়াও এক্সরে এবং রেডিওলজি বিভাগে টেকনিশিয়ান হিসেবে যাকে পাওয়া যায়, তার কোন প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা সনদ নেই। সনদবিহীন অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে চলছিল এক্সরের মত স্পর্শকাতর পরীক্ষা। সনদবিহীন লোক দিয়ে রেডিওলজি চালানোর কারনে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়।’
এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. নুরুল হায়দারও উপস্থিত ছিলেন।