সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বিচারকের এজলাসে বোমা হামলার ঘটনায় তিন জঙ্গির কারাদন্ড

প্রকাশিতঃ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৪:৫৬ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম আদালত ভবনে দুই বিচারকের এজলাসে বোমা হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় তিন জঙ্গিকে সাত বছর করে মোট ১৪ বছর কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দুই মামলার সাজা একই সঙ্গে কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন- জেএমবির বোমা কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান, জেএমবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ও জেএমবি সদস্য শাহাদাত আলী। মিজান পলাতক থাকলেও বাকি দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত পিপি সাইফুন নাহার খালেক বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুই মামলায় তিন আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে দুই মামলার সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হবে। তাই দুই মামলার রায়ে তারা ৭ বছর কারাগারে থাকবেন। প্রত্যেক মামলায় আসামিদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষনার পর দুই আসামি জাবেদ ইকবাল ও শাহাদাত আলীকে রায়ের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম আদালত ভবনে দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে জঙ্গিরা বোমা ছুড়ে মারে। ওই বোমা তারা বইয়ের ভেতর লুকিয়ে নিয়ে আদালতে ঢোকে। তবে বোমাগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হননি। এসময় পুলিশ ও আইনজীবীরা আবদুল মালেক লাল্টু ও শাহাদাত আলী নামে দুই জঙ্গিকে ধরে ফেলেন।

ঘটনার দিনই নগরীর কোতোয়ালী থানায় দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা করে পুলিশ। এতে জেএমবি নেতা জাবেদ ইকবাল, আবদুল মালেক লাল্টু, শাহাদাত আলী, বোমা মিজান, শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানিকে সেখানে আসামি করা হয়। মামলার বিচার চলাকালেই লাল্টুর মৃত্যু হয়। অন্য মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশকে হত্যা করে মিজানসহ তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। তাই এ দুটি মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। একটি মামলায় ১৮ এবং অন্য মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাায় ঘোষণা করা হয়।