ঢাকা : নাশকতার আরও চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর রমনা থানার দুই ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় এ জামিন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে রমনা থানা ও পল্টন মডেল থানার আরও চার মামলার মূল নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ চার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে বিচারক আদেশে বলেন। এ চার মামলায় জামিন পেলে কারামুক্তিতে তার বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে তার গ্রেফতার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য আদালত আমীর খসরুর উপস্থিতিতে গ্রেফতার ও জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ জন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।