সৈয়েদা ফাতেমা পিংকী, মাগুরা: মাগুরা শহরের পুরাতন বাজারের মদিনাতুল উলুম মাদরাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অমানবিক মারধর করবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আলফাজ উদ্দিন (১২) নামের ঐ মাদরাসা ছাত্রকে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলফাজ সদর উপজেলার রায়গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
আলাউদ্দিন বলেন, একমাত্র ছেলেকে হাফেজ বানোনোর আশায় মাত্র ৪ মাস আগেই ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন তিনি। শনিবার বিকেলে ছেলের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন, ভীষণ কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে সে। এসময় সে জানায়, মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মেরেছে।
গুরুতর আহত ছেলেকে পরে মাগুরা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি।
আলফাজের জানান, “বাবার সঙ্গে দেখা করার কারণে মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হুজুর আর ওস্তাদ ফবিরুল্লাহ আমাকে দড়ি দিয়া পিঠমোড়া কইরা বাইন্ধা মারছে।”
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইমরান একুশে পত্রিকাকে জানান, না বলে বাবার কাছে চলে যাওয়ায় তাকে মাদরাসায় নিয়ে এসে সামান্য শাসন করা হয়েছে মাত্র। দড়ি দিয়ে বেঁধে মারার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমরপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন, “শিশুটির শরীরে নির্যাতনের গভীর চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পেয়েছিলাম, তৎক্ষণাৎ তাকে ভর্তি করে নিয়েছি। তার চিকিৎসা চলছে।”
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি মো. হুসাইন ইলিয়াস বলেন, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলেই তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।