রোহিঙ্গার ঢল : আজ আশ্রয়, কাল যুদ্ধ!

সৈয়েদা ফাতেমা পিংকী, ঢাকা : আমাদের ভবিষ্যৎ-অস্তিত্ব নিয়ে আমি শঙ্কিত। নিজদেশে পরবাসী হতে আমাদের বেশি দেরি নেই যদি এভাবেই চলতে থাকে!
মায়ানমার সুকৌশলে এবং অত্যন্ত চাতুর্যের সাথে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে নিজেদের নাগরিকত্বের সমস্যাকে বাংলাদেশের মানবতার ও উদ্বাস্তুর সমস্যা বানিয়ে দিয়েছে।

রোহিঙ্গারা সুষ্ঠুভাবে বাঁচার দাবী রাখে। এর বিপক্ষে কোনো সুস্থ মানুষ কথা বলতে পারে না। কিন্তু তাদের সেই বেঁচে থাকার ব্যবস্থা আমরা নিজেদেরকে বিপন্ন করে করতে পারি না। গাছটা বাঁচিয়ে রেখে ফল খেতে হয়, যারা তা করে না তারা শেষে সবই হারায়।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গাদের বাঙালি বানানোর স্কিম সফল করতে উদগ্রীব। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেনই শুধু নয়, খোদ মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় ছুটে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন!

অথচ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা একবারও পড়ে দেখলেন না কফি আনানের রিপোর্টে কী আছে, রিপোর্টের বক্তব্যের তাৎপর্য কী, কফি আনানের রিপোর্ট মায়ানমার সরকার কীভাবে নিয়েছে বা নেবে, মায়ানমার সরকার যদি কফি আনানের রিপোর্টের বক্তব্য না মানে তাহলে তাদের আশু এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ কী হবে তাও বিস্তারিত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ না করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ও আশ্রয় দেওয়া সরকারের জন্য কতোটুকু সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এখন ইতিহাসের বিবেচ্য বিষয়।

তবে বিশ্ববাসীর কাছে এখন এটি বড়ো হয়ে দেখা দিয়েছে যারা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বলে আশ্রয় নিয়েছে তারা আদৌ রোহিঙ্গা কিনা। আর এ প্রশ্নের জবাব এখন বাংলাদেশকেই দিতে হবে। আজ অনেকেই নিজেকে নায়ক বানাতে মানবতা নিয়ে নানান পাকামি লেখা বুঝে/না বুঝে লিখছেন, কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য কী অবস্থা হতে পারে আমাদের, সেটা পরে যখন বুঝবেন ঠিক এবং আর অস্বীকার করতে পারবেন না তারা তখন রাতারাতি পাল্টি খেয়ে উল্টে যাবেন, তখন বাংলাদেশকে বাঁচাতে কার কী করণীয় সেই বাণী দেবেন।

দেখুন, এ কোনো বাজির ডেরা নয়! হিরো সাজবার মঞ্চও নয়! গঠনমূলক কেন নয় আপনাদের ভাবনা? রোহিঙ্গারা মিয়ানমারেই যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকে সে ব্যবস্থা করা উচিৎ, খাল কেটে কুমির এনে সে ব্যবস্থা হবে না।

বিশ্ববাসীর কাছে মিয়ানমার নেত্রী সু চি কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দাবি করেছেন যে রাখাইন প্রদেশে কোনো সমস্যা নেই এবং রাখাইনবাসী শান্তিতে ও নিরাপদে আছে। রাখাইনবাসী নিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সু চির এ বক্তব্যের সঙ্গে ভারত ও চীন একমত! ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করে সু চির অবস্থান সমর্থন করেছেন। সু চি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেন না। সু চি তার এই বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে যেমন বলেছেন, তেমন তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে টেলিফোনেও জানিয়েছেন উদ্বাস্তু সমস্যা বাংলাদেশের হওয়ায় অনেক দেশ বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়াতে চাইছে।

ইতোমধ্যেই মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের ফার্স্ট লেডিসহ অনেকেই বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দেখে গেছেন, যাচ্ছেন। কিন্তু কেউই এখনো রাখাইন বা মিয়ানমারে যাননি বা যাওয়ার চেষ্টা করেননি। অথচ সেখানে গেলে সবাই সরেজমিন রোহিঙ্গাদের বাস্তব অবস্থাটি দেখে আসতে পারতেন!

কিন্তু চরম বাস্তবতা হলো আজ পর্যন্ত একজন সাংবাদিকও সেখানে যাননি, এমনকি লুকিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে প্রবেশ করে একটি ছবিও নিয়ে আসেননি। হয়তো ভবিষ্যতে সবাই যাবেন তখন কিন্তু মিয়ানমার সরকারের তাণ্ডবের কোনো প্রমাণ সেখানে থাকবে না। রোহিঙ্গাদের যত ছবি, রিপোর্ট তার প্রায় সব বাংলাদেশের ভিতরের।

বিদেশি নেতা, রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের সফর বাংলাদেশের ভিতরে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যত মতবিনিময় বা খোঁজখবর সব বাংলাদেশের ভিতরে। তাহলে রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমার থেকে আসছে তার প্রমাণ কে দেবে?

ওদিকে ভারত দাবি করছে বাংলা ভাষাভাষী ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভারতে আছে! ভারত তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে কিনা তার হদিস আমাদের জানা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্ববাসী নির্দ্বিধায় হয়তো স্বীকার করে নেবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের কোনো সমস্যা নেই এবং বাংলাদেশে কতো লাখ রোহিঙ্গা আছে তার কোনো হিসাব নেই। তাদের কোনো রাষ্ট্র নেই এবং তারা উদ্বাস্তু।

রোহিঙ্গা ছদ্মবেশে বহু আইএসও তো প্রবেশ করতে পারে, এরা মগজধোলাইয়ে ওস্তাদ! অন্যান্য রোহিঙ্গাদের মগজধোলাই হয়ে গেলে তখন ওরা কতো ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে ভাবা যায়? আইএসও তো মুসলিম, ত্রাস হোক তবু মুসলিম তো! ওদেরকেও কি আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ, বিশিষ্ট মানবিক বন্ধুগণ?

বেঁচে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে দেখা করতে, শরণার্থী ক্যাম্পগুলো তে সরেজমিন পরিস্থিতি দেখতে গত ৮ তারিখ বাংলাদেশে এসেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের স্ত্রী তুর্কি ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান। কদিন আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপকালে বলেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার যদি অমত না করেন তো সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাক্যাম্পে শরণার্থীদের খাদ্যসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিবে তুরস্ক সরকার। এভাবে একজন ক্ষমতাবান মানুষ অসহায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাবছেন, যদি অন্যান্য দেশের ক্ষমতাধরেরা বা অন্তত ‘মুসলিম মুসলিম’ করা মুসলিম দেশগুলোর নেতারাও এভাবে ভাবতেন তবে এমন করুণ অবনতি দিনদিন হতো না।

ভারত আমাদেরকে ‘৭১ এ আশ্রয় দিয়েছিলো, আমরাও যে এককালে কারো শরণাপন্ন ছিলাম কেউ কেউ একথাও আওড়াচ্ছেন কিন্তু আমাদের সেই শরণাপন্ন হওয়াটা কোনো চিরস্থায়ী যাঁতাকলে পড়ে নয়। আমাদের সেই সংগ্রামকাল আর এই রোহিঙ্গাজিহাদ কখনো এক নয়। জার্মানিতেও তো শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দেওয়ার নজির মেলে, কিন্তু গত ৪ বছরে এর পরিমাণ হবে বেশি হলে ১ লাখ। আর ফ্রান্সের ভাগ আরো কম। জার্মানি এবং ফ্রান্স আয়তনে বাংলাদেশ থেকে ১.৫/২ গুণ বড়ো, তবু সেদেশে জনসংখ্যা মাত্র ২/৩ কোটি। অর্থনীতি চাঙ্গা। জার্মানি রয়েছে বিশ্বে ৪র্থ ও ফ্রান্স ৮ম অবস্থানে। সেখানে এ বিষয়গুলি বিবেচনা করলে আশ্রয় দেওয়ার বাতুলতা তো করাও পাপ।

রোহিঙ্গাদেরকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া কখনো সম্ভব নয়। প্রতিটি রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় এনে দেশে প্রবেশ করানো, নাম মিলিয়ে আবার ফেরত পাঠানো- এ দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। তারা যেতে চাইবে না, আর না তাদেরকে কেউ আর পাঠাতে পারবে। এদেশে ‘৭৮ সাল থেকে ২ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, তাদেরকে তো গত চল্লিশ বছরে কেউ ফেরত নেয়নি!

চট্টগ্রাম, কক্সবাজারকে যারা তারা নিজেদের রাজ্য মনে করে সেই দুই লাখ এখন অন্তত ১০ লাখকে ছুঁয়েছে ; প্রতিটা পরিবারে ৬-৭ টা বাচ্চাকাচ্চা। আজ ওদেরকে আমরা আশ্রয় দেবো, কাল আমরা নব্য ফিলিস্তিনে পরিণত হবো ; অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধ করতে হবে এই রোহিঙ্গাদের সাথেই।

ভয়াবহতা এ এক যে ঘনত্বের দিক দিয়ে এদেশের জনসংখ্যা আজ সবার উপরে। আমাদের খাদ্যভার আমরা নিতে পারছি না। যদিও মমতাময়ী বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন ১৬ কোটি জনতার মতো ৫ লাখ রোহিঙ্গাকেও তিনি খাওয়াতে কারো সাহায্য না নিলেও চলবে। যেখানে ন্যূনতম ২৫% গাছপালা নেই এদেশে, সেখানে ১৩ একর পাহাড়ি এলাকার গাছপালা উজাড় রোহিঙ্গাদের আবাস তৈরিতে! বিশ্বদরবারে তো বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মানবতার দৃষ্টান্ত!

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রোহিঙ্গাদের এই জিহাদী আন্দোলন কখনো এক হতে পারে না। চিরকালের মতো ওদেরকে আশ্রয় দিলে একদিন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের পরিণতি বরণ করতে হবে। তবে হ্যাঁ পাকিস্তান গঠিত হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতায়। লাভ কিছু হয়েছে কি তাতে? ভেঙ্গেচুরে গেছে সেই একহওয়া দুই জাতি।

আজ বাংলাদেশেও মুসলমানরা একভাগ নয়। শিয়া ও সুন্নি মুসলিম হয়েও দুইভাগ। ভিন্নতা আছে উৎসবেও। নামাজে একভাগ হাত বাধে বুকের উপরে, আরেক ভাগ নাভীর নিচে, একভাগ জোরে আমিন বলে, আরেক ভাগ মনে মনে। সেখানে এমন ভাবাটা নির্বুদ্ধিতা যে রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে বাকিজীবন এখানে মিলেমিশেই কাটবে সময়টা। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে ওদের, নির্বাচনও বেশি দূরে নয়।
চিরকালই নিজের অস্তিত্বের সংকট এসে পড়লে সেই জনপদ বেশিরভাগ সময়েই অন্যায্য কাজে লিপ্ত হয়। যেনতেন প্রকারে নিজেকে বাঁচায়। তারাও ব্যতিক্রম নয়। আগে থেকেই আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হাজারো খুন-রাহাজানি, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানান মামলা ঝুলে রয়েছে ইতোমধ্যেই। প্রায় সবাই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। রোহিঙ্গাদের অনেকেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত। তারা জিহাদী সংগঠনগুলির সাথেও জড়িত। ইতোমধ্যে নানা গোয়েন্দাতথ্যে সেই প্রমাণ মিলেছে। প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে মারাও গিয়েছে অনেকে। অনেকেই সামরিক ট্রেনিংও নিয়েছে।

সীমান্তে মিয়ানমার পেতে রেখেছে মাইন, মিয়ানমার মন্ত্রী হেসে বলেন সব রোহিঙ্গা ফিরতেও পারবে না। রোহিঙ্গাদের সামগ্রিক ত্রাণের প্রয়োজন সাড়ে সাত কোটি ডলারেরও বেশি। এমনই পরিস্থিতিতে আরসা’র তরফ থেকে এলো একতরফা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা। গত পঁচিশে আগস্ট পুলিশের উপর এই আরসা’র চালানো হামলার প্রতিক্রিয়াতেই রাখাইনে সেনাঅভিযান শুরু হয়, যার ফলে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়।সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জোরবাক্য- রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্ট ; সমাধান তাদেরই করতে হবে, প্রয়োজনে আমরা সহায়তা করবো।

এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি দরকার বিশ্ব গণমাধ্যম, স্পষ্ট জনমত এবং আন্তর্জাতিক চাপ। মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা সমস্যা- কোনো অস্থায়ী সমস্যা না, চিরস্থায়ী সমস্যা ; যার সমাধান কখনো এভাবে আশ্রয় দিয়ে নয়, তাদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আছে, আছে আন্তর্জাতিক আদালত। মিয়ানমার যদি নির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যেও এই সমস্যার সমাধানে যাবার ঘোষণা দিতো তবুও আশ্রয়ের ব্যাপার বিবেচনা করা যেত, কিন্তু এমন চিরস্থায়ী সমস্যায় এরকম অবারিত আশ্রয়- কখনো নয়।

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রাজপথে কিছু মানুষ নেমে এলে তারাই বদলে দিতে পারে অনেক কিছু।ওরা তো মানুষ, ওরা মুসলিম নাকি বৌদ্ধ এই চিন্তা নাইবা করলাম আমরা! এই বিপর্যয় মানবিক সংকটের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান থেকে একটা জোর আওয়াজ তুলি আমরা… সারা দুনিয়া দেখছে, আরো বেশি দেখুক আমরা নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, তখন তারাও আরো উজ্জীবিত হবে।

বড়ো বড়ো ব্যাপারগুলি নাহয় বাদই দিলাম ; সামান্য ব্যাপার যেমন যেখানেসেখানে ময়লা ফেলার ব্যাপারে যারা এখনো সচেতন হতে পারলো না একমাত্র দেশপ্রেমের অভাবে- তাদের এতো বিশ্বপ্রেমিক সাজ সাজে না।এদেশের সব…হ্যাঁ একপ্রকার সব সমস্যার মূল হলো আমরা আজ আর দেশপ্রেমিক নই, তাই আগে একটু ব্যক্তিস্বার্থ ছেড়ে দেশপ্রেমিক হই। দেশের স্বার্থ দেখি। দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখি। তারপর না হয় বিশ্বপ্রেমে ভেসে বিশ্বভ্রাতৃত্ব দেখাবো!

সৈয়েদা ফাতেমা পিংকী :শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়