পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার সিএনজি অটোরিকশা

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে সিএনজি অটোরিকশা রেখে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন চালক সৈয়দ নূর। ফিরে এসে দেখেন তার জীবিকা নির্বাহের অবলম্বনটি উধাও। উপায়ন্তর না দেখে তিনি শরণাপন্ন হন পুলিশের। তাৎক্ষণিক তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন মোড়ে শুরু হয় তল্লাশি। বিপদ আঁচ করতে পারে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে হালিশহর বড়পোল এলাকায় গাড়িটি ফেলে পালায় তারা।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় গাড়ি ছিনতাইয়ের পর কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে যান সিএনজি অটোরিকশার চালক সৈয়দ নূর। ঘটনা জানিয়ে পুলিশের সাহায্য চান তিনি। এরপর পুলিশের পরামর্শে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি। তাৎক্ষনিক বেতার বার্তার মাধ্যমে নগরের ১৬ থানার সকল টহল টিমকে বিষয়টি অবহিত করেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

একই সাথে কোতোয়ালী থানার এএসআই অনুপের নেতৃত্বে গঠন করা হয় একটি টিম। এরইমধ্যে চালকের মুঠোফোনে কল দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে বসে দুর্বৃত্তরা; ওই টাকা বিকাশে পাঠানোর জন্য বলা হয়। চেকপোস্ট বসিয়ে নগরজুড়ে পুলিশের সক্রিয় হয়ে ওঠা আঁচ করতে পারে দুর্বৃত্তরা। পুরো নগরজুড়ে পুলিশ তৎপর হওয়ায় ছিনতাইকারীরা বুঝতে পারে এই গাড়ি নিয়ে সরে পড়া অসম্ভব। তাই ধরা পড়ার ভয়ে গাড়িটি বড়পোল এলাকায় রেখে চালককে জানিয়ে দেয় তারা। ছিনতাইয়ের ১২ ঘন্টার মধ্যেই সোমবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে চালক গাড়িটি পেয়ে যান।

নগরের হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ নূর বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা ২০ মিনিটের দিকে গাড়িটি ওয়াসা মোড়ে রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাই। ২০ মিনিট পর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ পড়ে এসে দেখি গাড়ি নেই। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গেলাম। সব খুলে বলে পুলিশের উপর আস্থা রাখলাম। ভোরে ফোন পেয়ে বড়পোলে গিয়ে গাড়িটি দেখতে পাই। সব পুলিশের জন্য আমি দোয়া করি।’

কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাড়ি উদ্ধারের পর সকালে অফিসে মিষ্টি নিয়ে আসেন বয়স্ক ভদ্রলোক। আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার টিমসহ সকল পুলিশের জন্য দোয়া করলেন।’