চট্টগ্রাম: প্রসব ব্যাথা নিয়ে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়ে হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছেও শেষ রক্ষা হলো না নবজাতকের। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি সড়ক বিভাজকে উঠে গিয়ে আহত হন সবাই। গর্ভবতী মা হাসিনা আক্তার আহত হয়ে হাসপাতালে পৌঁছে মৃত সন্তান প্রসব করেন।
এছাড়া হাসিনার সাথে থাকা তার শাশুরি হালিমা খাতুন (৪৭) দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা যান। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মিরসরাই সদরে, থানার সামনে।
দুর্ঘটনায় আহত মো. সোলাইমান জানান, শনিবার গভীর রাতে তার স্ত্রী হাসিনা আক্তারের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে তাকে নিয়ে সাহেরখালী থেকে প্রাইভেট কার যোগে মিরসরাই মাতৃকা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাত তিনটার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরের দক্ষিণ পাশে আমাদেরকে বহনকারী প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চলন্ত অবস্থায় রোড় ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা দেয়। এসময় তার গর্ভবতী স্ত্রী, বাবা-মা, ছেলেসহ সবাই গুরুতর আহত হন।
আহত অবস্থায় তারা সবাই মিরসরাই মাতৃকা হাসপাতালে যান। কিন্তু অবস্থা আশংকাজনক হওয়াতে তার মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। এছাড়া মারাত্মক আহত অবস্থায় তার গর্ভবতী স্ত্রী হাসিনা আক্তারকে তাৎক্ষনিকভাবে মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করালেও সেখানে ১০ মিনিট পর একটি মৃত ছেলের জন্ম হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মারাতœক আহত হওয়ায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
মিরসরাই থানার ওসি সাইরুল ইসলাম বলেন, রোগী বহনকারী একটি প্রাইভেট কার সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এসময় পুলিশ দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।