গুলিবিদ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চার রোহিঙ্গা

চট্টগ্রাম: গুলিবিদ্ধ হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এক নারীসহ আরও চার রোহিঙ্গা চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। শনিবার রাত ৮ টায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহতরা হলেন- বুচিদং জেলার তমবাজার থানার সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে সিরাজুন্নেসা (২৮), মংডু জেলার হাবারবিল থানার আবদুর রহিমের ছেলে হোসেন আলী (৪৫), বুচিদং জেলার তমবাজার থানার আবদুল হাকিমের ছেলে মো. শাকের (২৭) ও বুচিদং জেলার সাংগানা থানার মো. তোহার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২০)।

উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের হাসপাতাল থেকে তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম একুশে পত্রিকাকে বলেন, আহতদের মধ্যে শাকের বুকের বাম পাশে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডান পায়ে হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। সিরাজুন্নেসার দুই পায়েই গুলি লেগেছে। এ ছাড়া হোসেনের বাম পায়ে হাঁটুর উপরে গুলি লাগে।

আহতদের মধ্যে সিরাজুন্নেসাকে ২৪ নং ওয়ার্ডে এবং অন্যদের ২৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। এতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎকন্ঠা তৈরি হয়। এরই মধ্যে মংডু জেলার মংডু ও বুথিদাউং উপজেলায় গত ২৪ আগস্ট রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা করে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার পর প্রাণ বাঁচাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে।

গত ১৭ দিনে গুলিবিদ্ধ ও দগ্ধ অবস্থায় মোট ৭৭ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের একজন গত ২৬ অগাস্ট এবং আরেকজন ৩০ অগাস্ট মারা যান।