মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে হেফাজত

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, অত্যাচার ও গণহত্যা বন্ধ না করলে ঢাকায় অবস্থিত মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ গণহত্যা বন্ধ না করলে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করা হবে। আর ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ ও গণমিছিলের আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর হামলার পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের কর্তব্য পালন করছে না। চীন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। আর ইসরাইল অস্ত্র ও সমর প্রশিক্ষক সরবরাহ করছে। এ থেকে বোঝা যায় এটি ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেদেশের বৌদ্ধ জনগণকে অস্ত্র দিয়ে হত্যাকান্ডে প্ররোচনা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ গণহত্যা বন্ধ না হলে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বে আরাকানমুখী (রাখাইন রাজ্য) লংমার্চ করা হবে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, গণহত্যা বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর কঠোর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণারও দাবি জানান তিনি।

দেশি-বিদেশি মুসলিম এনজিওসহ রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বলা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তারা মজলুম, নির্যাতিত। রোহিঙ্গাদের জন্য আসা কিছু বিদেশি ত্রাণ সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকায় বিতরণ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রোহিঙ্গারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল, ভারতে হিন্দুরা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাহলে আমরা কেন তাদের আশ্রয় দিতে পারব না?

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, লোকমান হাকিম, মাঈনুদ্দীন রূহী, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পদক আনাস মাদানী উপস্থিত ছিলেন।