কোকেন আমদানি: চোরাচালানের মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভোজ্যতেল ঘোষণায় তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় চোরাচালানের ধারায় দায়ের করা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে কোকেন আমদানির এ ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজনকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করেছিল পুলিশ। পরে আদালত চারাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। চোরাচালানের মামলায় গত ১৪ মে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ৯ অগাস্ট তাতে নারাজি জানিয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুনানি শেষে কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় চোরাচালানের মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশে মামলাটি র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামে কর্মরত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা তদন্ত করবেন।

২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে পরীক্ষা করে এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর ২৮ জুন বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।

২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মাদক আইনের মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদের নাম বাদ দেওয়ায় আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুলিশের বদলে র‌্যাবকে দিয়ে তদন্ত করায়। অধিকতর তদন্ত করে গত ৩ এপ্রিল নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে মাদক মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।

অন্যদিকে চোরাচালান মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান।