কক্সবাজার: ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এমনকি সামনে রোহিঙ্গা চোখে পড়লেই হত্যা করা হচ্ছে।’
বুধবার এসব অভিযোগ করেছেন মিয়ানমারের বলিবাজার থেকে টেকনাফে পালিয়ে আসা আবদুল গফুর নামের এক বৃদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘নতুন করে রোহিঙ্গাদের গ্রামে আক্রমন করছে মিয়ানমারের সেনা ও স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার থেকে মংডু শহরের নিকটবর্তী রোহিঙ্গাদের চারটি গ্রাম আক্রমণ করা হয়েছে। এই চারটি গ্রাম ছিল সোজা পাড়া, ঢলিয়া পাড়া, নলবনিয়া ও ঘোনার পাড়া।’
‘গত সোমবার রাতে নলবনিয়া গ্রামে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে এসব গ্রামের বাসিন্দারা এখন সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছি।’
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের দেয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পাহাড়ে ও নাফ নদীর পাশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গা শূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে নতুন করে আসা রোহিঙ্গা বসতির জন্য ৫০ একর পাহাড়ী এলাকার প্রস্তাবনা করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন; অনুমতি পেলেই সব রোহিঙ্গাদের ওখানে একত্রে করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের ২৪টি পোষ্টে এক যোগে হামলা চালায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠণ হিসেবে পরিচিত এআরএসএ নামের একটি গোষ্ঠি। এর পর আরো ৮টি পোষ্টে হামলা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর দমন পীড়ন শুরু করে। এরপর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এর আগে গত নভেম্বর একই ধরণের ঘটনায় পালিয়ে এসেছে কমপক্ষে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা।