সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পুলিশকে সরকারের ঈদ বকশিশ ‘সাঁড়াশি অভিযান’

প্রকাশিতঃ ১১ জুন ২০১৬ | ৯:২৭ অপরাহ্ন

rizviঢাকা: ঈদের আগে বকশিশের সুযোগ দিতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জঙ্গি দমনের নামে দেশব্যাপী যে গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার-বাণিজ্য চলছে, তাতে পুরো ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রহস্যজনক বলে জনগণ মনে করে। জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এর অন্তরালে সরকারের বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।

জঙ্গি দমনে গতকাল শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহের সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রিজভী অভিযোগ করেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযান বলা হলেও সারা দেশ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছোট, বড়, মধ্যম প্রকৃতির কোনো জঙ্গিকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানাতে পারেনি। এই অভিযানে মাদকসেবীদের মতো কিছু সামাজিক অপরাধীরা থাকলেও ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের।

তিনি বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে ৫৪ ধারা-বিষয়ক যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটিকেও উপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এই অভিযানে সাধারণ মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।

রিজভী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃত জঙ্গিবাদ দমন করতে চান না। বিরোধী দল দমনই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য। রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নাকি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট হিসেবে সব তথ্য পেয়ে থাকেন। তা-ই যদি হয়, তাহলে ওনার প্রেস কনফারেন্সের এক দিন পরেই পাবনায় আশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে কী করে কুপিয়ে হত্যা করল দুর্বৃত্তরা?’

রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে একের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একজন আসামিকেও ধরতে সক্ষম হয়নি। অন্যদিকে বিনা বিচারে তদন্ত ছাড়াই মানুষকে গ্রেপ্তার করে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে। তারা জঙ্গি হয়ে থাকলে তাদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মূল হোতাদের খুঁজে বের না করে কথিত ক্রসফায়ারের নামে হত্যা রহস্যজনক।