চট্টগ্রাম: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘাতে শিশুসহ গুলিবিদ্ধ দুইজন আশঙ্কামুক্ত। তবে শরীরে সেই ছররা গুলি নিয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হবে বেশ কয়েকটি বছর।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক বিপ্লব মজুমদার বলেন, দুইজনের শরীরে ছররা গুলি লেগেছে। এক্সরে করে দেখা গেছে রায়হানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১টি ও শিশু ইকবালের শরীরে ৩টি ছররা গুলি লেগেছে।
তিনি বলেন, শরীরের ভেতরে প্রবেশ করায় এসব গুলি এখনই বের করা হয়নি। অস্ত্রোপচার করতে গেলে বেশ কাটাছেঁড়া করতে হবে। এ কারণে অস্ত্রোপচার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব গুলি কয়েক বছর তাদেরকে বয়ে বেড়াতে হবে। শরীরে থাকা এসব গুলি একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে। অন্যথায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে আনা যাবে।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর মুরাদাবাদ এলাকায় সংঘাতের ঘটনায় মো. ইকবাল (১০) ও মো. রায়হান (২৬) গুলিবিদ্ধ হন। রায়হান স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য এবং শিশু ইকবাল স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত।
আহতদের নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফজলু জানান, উত্তর মুরাদাবাদ এলাকায় মসজিদের সামনের সড়কে শাহ আলম মেম্বারের ছেলের সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় খবর পেয়ে শাহ আলম মেম্বার ঘটনাস্থলে এসে গুলি করা শুরু করেন। গুলিতে শিশু ইকবাল ও রায়হান আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়, তবে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাহ আলম মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চন্দনাইশ থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলী মেম্বার ও শাহ আলম মেম্বারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পুলিশের উপস্থিতি দেখে দুই মিনিটের মধ্যেই দুই পক্ষ পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। শাহ আলম মেম্বারের অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কিনা আমি জানি না।