চট্টগ্রাম: মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হায় মুজিব’, ‘হায় মুজিব’ বলে মাতমকারী চট্টগ্রামের বন্দর এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আলী ওরফে হাজি ইকবালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে চট্টগ্রাম আদালতে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে দায়েরকৃত এই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মো. মহিউদ্দিন নামে বন্দর এলাকার এক ব্যক্তি বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আরজিতে হাজী ইকবালের পাশাপাশি মুরাদ আলী আকবর, মো.হারুন এবং নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা মামুনর রশিদকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ইকবাল আলী বেশ কয়েক বছর আগে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে ৮-১০ বছর আগে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে (ডিসি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘শোক দিবস উদ্যাপন পরিষদ ২০১৭ চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর পতেঙ্গা)’ ব্যানারে ওই মানববন্ধন করা হয়। এতে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক অংশ নেন। মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগে ইকবালের নেতৃত্বে নগরের চেরাগীপাহাড় মোড় থেকে একটি মিছিল ২০০ মিটার দূরে প্রেসক্লাবে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান। পরে তারা মানববন্ধন করেন। এই মানববন্ধনে ইকবাল আলী জিঞ্জির চাকু (ধারালো ছুরি ও ব্লেডের গুচ্ছ) দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করছিলেন, আর বলছিলেন ‘হায় মুজিব’, ‘হায় মুজিব’। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁর এই মাতম চলে। এ সময় তার আরও দুই অনুসারীও শার্ট খুলে একই কাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মানববন্ধনে অংশ নিয়ে একযোগে ‘হায় মুজিব, হায় মুজিব’ মাতম করে আসামিরা নিজেদের শরীরে আঘাত করে অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করে। বিষয়টি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তাজিয়া মিছিলের ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমের অনুকরণে নিজ হাতে নিজ পিঠে দোররা দ্বারা আঘাত করার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীরভাবে আঘাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছে।