আরও নয় রোহিঙ্গা চমেক হাসপাতালে ভর্তি

চট্টগ্রাম: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আরও নয় রোহিঙ্গাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের শরীর ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রোববার মধ্যরাতে ওই নয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়।

এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সাতজন হলেন নুরুল হাকিম (২৬), সাকের (২৭), মামুনর রশিদ (২৭), নুরু সালাম (১৫), পারভেজ (২০), আবুল কাশেম (২৭), নুরুল আমিন (২২)। দগ্ধ দুইজন হলেন- সাদেক (২০) ও জাহিদ হোসেন (২০)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে নিয়ে আসে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। রাত ২টা থেকে একে একে অন্য সাতজনকে নিয়ে আসে তাদের স্বজনরা। তাদের গায়ে গুলির ক্ষত আছে।

তিনি আরও বলেন, দগ্ধ দুইজনকে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসে পুলিশ। তাদেরকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার রাতে ভর্তি হওয়া নয়জনসহ মোট ১৭ জন রোহিঙ্গা চিকিৎসা নিতে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেলে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকিদের পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ চৌধুরী বলেন, দগ্ধ দুইজনের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বোমা বিস্ফোরণে তারা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। এতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎকন্ঠা তৈরি হয়। এরই মধ্যে মংডু জেলার মংডু ও বুথিদাউং উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলা করে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য ও ৫৯ জন রোহিঙ্গাসহ মোট ৭১ জন নিহতের খবর দিয়েছে রয়টার্স। মিয়ানমারে দৈনিক মিজিমার খবরে নিহতের সংখ্যা ৮৯ জন বলা হয়েছে। এ ঘটনার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের ভয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অংশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।