চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে ১৯৬৯ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে থাকা ৭০টি খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে একটি সংগঠন। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর নদী ও খাল উদ্ধার নাগরিক আন্দোলন’।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক আন্দোলনের কর্মী আলীউর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম শহরের ১৯৬৯ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান ও আরএস সিট অনুযায়ী খাল রয়েছে ৭০টি। আর এসব খালের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি। এই ৭০টি খাল উদ্ধারের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো ছয় থেকে সাত ফুট গভীরতায় খনন করে উভয় তীরে ইটের দেয়াল দিতে হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র কালুরঘাট ব্রিজ থেকে কর্ণফুলীর মোহনা পর্যন্ত ৩৪টি খাল নদীতে মিশেছে। এর মধ্যে ১২টি খালের দুই-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণভাবে বেদখল হয়ে আছে। সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সবসময় নগরীর দৃশ্যমান ৩৪ বা ৩৭টি খাল বেদখল বা ভরাটের কথা বলে থাকে। বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ এবং ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী দখলদারদের উচ্ছেদ করে প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে টানা দেড় ঘন্টা বৃষ্টিপাত হলেই ৩৮ দশমিক এক মিলিমিটার পানি ওঠে। বৃষ্টিতে পানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ঘনফুট। নগরীর ৩৭টি ছোট-বড় খালের পানি ধারণক্ষমতা ১০ কোটি ঘনফুট। বাড়তি চার কোটি ৫৮ লাখ ঘনফুট পানি নিয়েই নগরের জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এসব পানি যথাযথ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলীউর রহমান বলেন, বেদখল হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি কর্ণফুলী ও সাগরের মোহনায় খালের মুখে স্লুইস গেইট বসাতে হবে। একইসাথে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে খালে পলিথিনসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ আলী আশরাফ, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া প্রমুখ।