চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনটাই ছিল মানবতার সেবায় নিয়োজিত।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর এর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাসের এর সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করে ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। জীবিত মুজিবের চাইতে মৃত মুজিব অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে এ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনটাই ছিল মানবতার সেবায় নিয়োজিত।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে মানব সেবা করেছেন। মানবতার জন্য তার জীবনটার বাংলা এবং বাঙালির জন্য উৎসর্গ করে গিয়েছেন। আমার অনুরোধ যারা মানবতার জন্য কাজ করতে চান বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লে মানুষ ও দেশের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয় আপনারা তা জানতে পারবেন। আপনারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেখানে মানবতার উপর আঘাত আসবে সেখানে প্রতিবাদ করে মানবতাকে রক্ষা করতে হবে। আজকেই জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশকে একটি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মেজবানের আয়োজন না করে একজন সমাজের ঝড়ে পড়া এস.এস.সি ও এইচ এস সি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্রীকে শিক্ষার সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন। এ জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উত্তর জেলা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটি একটি সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি রফিক উদ্দিন বাবুল, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বেলাল, এডভোকেট এম এ কাসেম, মাহফুজুল্লাহ চৌধুরী সুমন, ইলিয়াস খান আইয়ুব, অধ্যক্ষ কে এম মুছা, মনির হোসেন, সৈয়দ মো: শাহ এরফান, ডাঃ দীপক সরকার, জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান, শাহজাদা এনাম, ইসকান্দর মাস্টার, এড. মোস্তফা আনোয়ার, মোঃ হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড. ইলা চক্রবর্ত্তী, এড. ফৌজিয়া আফরোজ রনি, এস এম মোরশেদ আমিন, এস এম আনোয়ার মেহেদী, আরিফ মইন উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জোবায়াদা সরওয়ার নিপা, জুনায়েদ ইজদানী রবিন, এস এম ওসমান গণি, সেকান্দর তুহিন, মো: শাহজাহান, আবদুল হালিম, মিজানুর রহমান বিপুল, এড. এরশাদ হোসেন, জামাল উদ্দিন, এড. জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি, টিংকু রাণী বড়ুয়া, শাহাদাত হোসেন, সাজেদা বেগম ডলি, রাবেয়া সুলতানা, সনজয়িতা দত্ত পিংকি, রুবায়েত বিনতে হাসান, ওমর ফারুক চৌধুরী জীবন, মো: টিপু, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।