বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

চেক পাওয়া ডাক্তাররা যা বললেন…

| প্রকাশিতঃ ২৩ জুলাই ২০২৩ | ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন


শরীফুল রুকন : যে ৪৩ জন চিকিৎসকের নামে ওষুধ কোম্পানি চেক ইস্যু করেছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন চেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তবে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন; ৪ জন সরাসরি স্বীকার-অস্বীকার কোনোটিই করেননি; ২ জন বলেছেন, চেক তাদের হাতে পৌঁছায়নি; একজন প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি; আর বাকি ৩ জন চিকিৎসক চেকের বিষয় অস্বীকার করলেও তা যে স্রেফ গা বাঁচানোর জন্য, সেটা তাদের কথার সুরেই বোঝা গেছে। একজন ডাক্তার আবার উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়েছেন একুশে প্রতিবেদককে।

ওষুধ কোম্পানি এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজের পক্ষ থেকে তার নামে চেক ইস্যু করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা তো সংগঠন করি; সংগঠনের জন্য ওষুধ কোম্পানিসহ অনেকেই অনুদান দেয়। ২০১৯ সালে আমাদের ডাক্তারদের কিছু প্রোগ্রাম ছিল। ৩ লাখ টাকা দেওয়া হলে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য হতে পারে। চিকিৎসকদের সংগঠনের অনুষ্ঠান থাকলে ওষুধ কোম্পানি অনেক সময় দিয়ে থাকে।’ এটুকু বলেই ডা. মহিউদ্দিন বলেন, ‘কিন্তু আপনার কাছে এসব তথ্য গেল কেমনে?’ একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমিও তো সাংবাদিক। আমি মানবজমিনে আছি। আমি আপনাদেরই লোক। সাংবাদিকতা আমার পার্টটাইম পেশা।’

‘কিন্তু চিকিৎসকদের এভাবে টাকা দেওয়ার কারণে ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে, বহু মানুষ ওষুধ কিনতে না পেরে অকালে মারা যাচ্ছে’Ñ এই কথা তুললে ডা. মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘চিকিৎসকদের নামে চেক ইস্যু একটি-দুটি না, আপনি আমার কাছ থেকে নিলে অন্তত এক লাখ চেকের কপি নিতে পারবেন। আমি আপনাকে এক লাখ চেকের কপি দিতে পারবো। আমি দুটি ওষুধ কোম্পানির ডাইরেক্টর।’

কোম্পানির নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বায়োফার্মা ও ডেল্টা। এসব বিষয়ে নিউজ করতে চাইলে আপনি আমার সহযোগিতা পাবেন। এটা নিয়ে আমি অলরেডি কাজ করতেছি। এসব বিষয় নিয়ে লিখলে আমি ঢাকা শহরে আপনাকে সংবর্ধনা দেব। আমি তো ডাক্তার হয়ে লিখতে পারছি না।’

কিছু চেকের কপি দেওয়ার অনুরোধ করলে ডা. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি আপনাকে ইনফরমেশন দেব। দোষ তো ডাক্তারদের না। দোষ ওষুধ কোম্পানির। বাংলাদেশে যত ওষুধ কোম্পানি আছে, সবগুলোই খারাপ। এ টু জেড।’

বেশ কিছুদিন অপেক্ষার পরও ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়ার কাছ থেকে কোনো চেকের কপি পাওয়া যায়নি।

২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, চট্টগ্রামের মুরাদপুর শাখার তার নামে ইস্যু করা ৫০ হাজার টাকার চেক জমা হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে গত ১৮ মে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথমে এলবিয়ন নামে যে ওষুধ কোম্পানি আছে, তা জানেনই না বলে দাবি করেন। পরক্ষণে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের ৫ এপ্রিল তো আমি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ছিলাম না, ঢাকায় ছিলাম।’

‘২০২১ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দেন আপনি’— মনে করিয়ে দেওয়ার পর ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো তো কোনো অফিসিয়াল বিষয় নয়। ডাক্তারদের সাথে ওষুধ কোম্পানির সভা-সেমিনারের জন্য অনেক সময় লেনদেন হয়, ঠিক আছে? কোনো সভা সেমিনারের জন্য দিয়েছে হতে পারে। অথবা অনেক সময় হসপিটালে আমরা কোনো কাজ করার সময় ওনারা অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকেন। এগুলো দেয়, সেমিনারের জন্য দেয়। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময় সেমিনার করতে এগুলো দেয়। ২০১৯ সালের যে চেকের কথা বলছেন, তখন আমি ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ছিলাম। তখন হাসপাতালের কোনো কাজের জন্য হয়তো দিয়েছে। সরকার আমাদেরকে যে পরিমাণ টাকা দেয়, এগুলো দিয়ে না হলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অনুদান নিতে হয়। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি সহযোগিতা করে। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল চেক প্রদানের সময় আমি ঢাকার সিভিল সার্জন। এটা মনে পড়ছে না। এরকম হয়তো কোনো কিছুর জন্য দিয়েছে কি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে বাইরের টাকা ঢুকতে পারে না। এজন্য এগুলো আমাদের নামে দেয়। আমাদের যখন অডিট হয়, এই ৫০ হাজার টাকা কোথা থেকে আসছে, ওটার হিসাব দিতে আমাদের কষ্ট হয়। এটা (চেক) কোন কাজে নিয়েছি, সুনির্দিষ্টভাবে মনে পড়ছে না।’

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘আমি যখন ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিলাম, তখন স্কয়ার কোম্পানি আমাকে দুই এলাকার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোবাস ঠিক করে দিয়েছিল। একটা দক্ষিণের জন্য, একটা উত্তরের জন্য। তখন কেউ মাঝে-মধ্যে ক্যাশ টাকা দিতো, কেউ চেক দিতো। চেকগুলো আমাদের নামে দিতো। তখন আমরা আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এটা ভাঙিয়ে নিতাম।’

ওষুধ কোম্পানির চেক নেওয়ার কথা তুললে ডা. মো. ইউসুফ ফারুকী পারভেজ যেন আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন, ‘এলবিয়নটা কে? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। এটা কোন গ্রুপের ওষুধ, দয়া করে বলবেন?’ ‘এলবিয়ন একটি ওষুধ কোম্পানির নাম; তাদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা টাকা নিয়েছেন আপনি’— বললে কিছুক্ষণ চুপ থাকেন তিনি। এরপর বলেন, ‘এ ধরনের চেকের কথা মনে পড়ছে না। তবে আমি প্রতি বছর হেলথক্যাম্প করি। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি আমাকে হেল্প করে। এখন ওই পারপাসে দিয়েছে কি না আমি বলতে পারছি না।’

‘হেলথক্যাম্প কখন করেছিলেন’ জানতে চাইলে ডা. পারভেজ বলেন, ‘কোনো বছর মে মাসে করি, কোনো বছর ডিসেম্বরের ২৫ তারিখেও করি।’ তিনি বলেন, ‘চেকটি ফার্মেসিওয়ালাকে দিয়েছে কি না! আমি তো ফার্মেসিতে বসি, এখানে ফার্মেসি আমার নামে নিয়েছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রেসপাইরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সরোজ কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘২০১৯ সালের ঘটনা তো, চেক নিয়েছি কি না আমার ঠিক মনে নেই। তবে এলবিয়ন বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে, সেখানে আমি অংশগ্রহণ করি। এজন্য আমরা দেশের বাইরেও যাই। তখন এলবিয়নসহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি স্পন্সর করে। এলবিয়ন দুটি চেক দিলে বিদেশ সফরের জন্য হয়তো দিয়েছে।’

‘২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি দেড় লাখ ও একই বছরের ৮ আগস্ট দেড় লাখ টাকার আরেকটি চেক ইস্যু হয়েছে আপনার নামে; ওই বছরে দুটি বিদেশ সফর ছিল কি না’ জানতে চাইলে ডা. সরোজ বলেন, ‘একই সাথে সব খরচ তারা তো দেয় না। কিছুটা অংশ দেয়। ওই সময় হয়তো দুটি সেশন ছিল। তারা হয়তো এক সাথে করতে পারেনি। আমার ঠিক মনে নেই।’

‘কোন দেশে, কোন সেমিনারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন’ জানতে চাইলে ডা. সরোজ বলেন, ‘আমাকে একটু স্মরণ করতে হবে।’ বিদেশ যেতে স্পন্সর হওয়ার বিষয়ে কোনো কাগজপত্র নেই বলেও জানান তিনি।

তিন দফায় ১০ লাখ টাকার চেক পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাগর বলেন, ‘কেন, আমি কি ওনাদের কাছ থেকে চেক পেতে পারি না? ওনার সাথে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকতে পারে না?’

‘কী ধরনের ব্যবসার কারণে চেকগুলো পেয়েছেন’ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটা আগে ওনার কাছে জিজ্ঞেস করেন। এরপর আমার কাছে আইসেন। ঠিক আছে? আপনার সাথে আমার কথা বলার প্রয়োজন নাই। আপনি তার সাথে কথা বলেন। আমি কার কাছ থেকে চেক নেব, কার কাছ থেকে নেব না, কার চেক নগদায়ন হয়েছে, সেটা আপনাকে বলতে হবে কেন? এটা তো আমার পার্সোনাল ইস্যু।’

এটুকু বলে আরো উত্তেজিত হয়ে ডা. গিয়াস বলেন, ‘আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন চেম্বারে এসে। আমার একটা পার্সোনাল বিষয় নিয়ে আপনি ফোন করেন কেন? কে আমাকে চেক দিয়েছে, সেটা আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। আপনি আমাকে ফোন করেন কেন? হাউ ডেয়ার ইউ? তাদের সাথে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকতে পারে, আপনাকে বলতে হবে? ফাইজলামি পাইছেন! আপনি আইডি কার্ড নিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আপনি আমাকে সাংবাদিকতা শেখান? ফালতু কোথাকার!’

এসব বলেই ফোন কেটে দেন ডা. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাগর।

এলবিয়নের পক্ষ থেকে ৬ লাখ টাকার চেক ইস্যু প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে গত ১৮ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাঠানো হয়। প্রশ্ন দেখলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি কোনো সাড়া দেননি। দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।

এলবিয়নের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক ইস্যু প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডা. মহিউদ্দীন এ শিকদার বারবার ঘুরে-ফিরে বলতে থাকেন, ‘এ বিষয়ে কিছু মনে নেই। স্মরণ করতে পারছি না।’

ডা. সৈয়দুল আলম কোরাইশীর কাছে চেক নেওয়ার বিষয় তুললে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি মনে করতে পারছি না। ২০২১ সালের ঘটনা তো। অনেক সময় দেখা যায়, আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ওষুধ কোম্পানি সহযোগিতা করে, ওই রকম হতে পারে। কিন্তু আমার কিছু মনে পড়ছে না। আগে এলবিয়নে আমাদের এক পরিচিত লোক চাকরি করতো। শুনেছি, সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। এখন তো তাদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।’

এলবিয়নের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার চেক ইস্যু হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ দে বলেন, ‘এলবিয়নকে আমি চিনি না। তাদের নাম প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তাদের কোনো চেক আমি পাইনি। এ বিষয়ে আর কিছু জানি না।’

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের ইন্টারনাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান লোহানী বলেন, ‘এলবিয়ন নামের কোনো কোম্পানি আমি চিনি না। চেক দিয়েছে কি না আমি মনে করতে পারছি না।’

এলবিয়নের কাছ থেকে দুই দফায় ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকার অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী মো. আবরার হাসান নিজেকে একজন সাংবাদিক নেতার বন্ধু ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রদায়ক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ডাক্তারের নামে তারা চেক ইস্যু করে; আমি এসবের মধ্যে নেই। আমি নিজেই অসুস্থ। এখন তেমন চেম্বারও করি না। কিছু (নিউজ) করলে আমাকে বাদ দিয়ে করবেন।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমার নামে চেক ইস্যুর বিষয়টি আমাকে দেখতে হবে। এলবিয়নের সাথে আমার কোনো লেনদেন নেই।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. সালাউদ্দিনের নামে ২ হাজার টাকার অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করেছিল সান ফার্মা। তবে আমাদের হাতে আসা চেকটি শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছে পৌঁছায়নি। জানতে চাইলে ডা. মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘সান ফার্মার চেক আমি পাইনি। এত ছোট চেক, প্রশ্নই আসে না। ওষুধ কোম্পানির লেনদেন কিন্তু অনেক, তাদের লেনদেনের সীমা নেই অবস্থা। এটা তো বিশাল সেক্টর। একটা কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ তো কয়েক হাজার থাকে। অনেক সময় কেউ কেউ ডাক্তারের নামে অফিস থেকে চেক নিয়ে আসে। এরপর ওরা ডাক্তারের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা খেয়ে ফেলে বলে ধারণা করছি।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ কাশেমের নামে অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করেছিল সান ফার্মা। তবে এ চেকটিও তার কাছে পৌঁছায়নি। গত ১৭ মে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. এম এ কাশেম বলেন, ‘আমি সান ফার্মার কোনো চেক কখনো পাইনি। যারা প্রাইভেট চেম্বার করে, তারা চেক পান। ধরুন, একটা ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার আছে, তখন তারা স্পন্সর করে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ৫ লাখ, ১০ লাখ টাকাও দেয়, অথেনটিক। সারা দেশে ব্যবসা করতে গেলে তো তাদের দিতে হবে। এটা বাংলাদেশে ওপেন সিক্রেট। আপনি সাংবাদিক, আপনি জানেন, আমিও জানি, সবাই জানে।’

মূল প্রতিবেদন : ডাক্তারদের পটাতে চেক বাড়ি গাড়ি সবই