সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

নাশকতার মামলার সিংহভাগ আসামি বিদেশে, দাবি পুলিশের

প্রকাশিতঃ ১৯ অগাস্ট ২০১৭ | ৯:২০ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত নাশকতার মামলার আসামিদের সিংহভাগ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে তিনি এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, গাড়িতে আগুন দেয়াসহ নাশকতার ঘটনায় বেশকিছু মামলা হয়েছিল। এসব মামলার ৯০ শতাংশ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ পাসপোর্ট পরিবর্তন করে হোক বা অন্য যেকোন উপায়ে হোক বিদেশে চলে গেছে। গ্রেফতার এড়াতে কিংবা জীবিকার তাগিদে তারা বিদেশে গেছে। জামিন পেয়ে শর্তভঙ্গ করে বিদেশে গেছে।

পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে নাশকতার মামলার আসামিরা। সরকারবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এরা নিয়মিত টাকাও পাঠাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায়, যে কোন লোক গেলে টাকা পাঠায়। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

জামিনে গিয়ে পলাতক আসামিদের জামিনদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।

এ প্রসঙ্গে সভায় চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মো. মশিউর রহমান বলেন, পলাতক আসামিদের জামিনদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে আসামিকে হাজির করার জন্য জামিনদারকে বলা যায়। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী জামিনদারের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করার সুযোগ আছে। নাশকতার মামলার অাসামিদের অর্থায়ন বিষয়ে দুই-একজনের বিরুদ্ধে আপনারা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে মামলা করুন। তাহলে এই প্রবণতা কমে আসতে পারে।

মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পরিচালক র‌্যাব-৭-এর প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার রেলওয়ে-এর প্রতিনিধি, পরিচালক, চমেক হাসপাতাল-এর প্রতিনিধি, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমবৃন্দ, বিচারিক হাকিমসহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, পাবলিক প্রসিকিউটর ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।

এবারের পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সভাটি পর্যবেক্ষণ করে জার্মান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড- এর প্রতিনিধিগণ।