মিরসরাইয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা, আহত ১৫

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পৃথক দুটি স্থানে পুলিশী ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বাধার কারনে বিএনপির কর্মসূচি পালন পন্ড হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে মিরসরাই সদরস্থ মীর কমিউনিটি সেন্টারে এবং ১১ নম্বর মঘাদিয়ায় বিএনপির সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠান বাধার কারনে হতে পারেনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মীর কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশি বাধা সত্বেও বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে। সকাল নয়টায় মিরসরাই সদরের মীর কমিউনটি সেন্টারে কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পুলিশী বাধার কারণে কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। পরে কমিউনটি সেন্টারের বাইরে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) নুরুল আমিন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন কোম্পানী, রফিকুজ্জামান চেয়ারম্যান, মুছা চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শাহীনুল ইসলাম স্বপন, কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক মহি উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর হোসেন, যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন প্রমুখ।

নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে শান্তিপূর্ণ সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্য্যক্রম উদ্বোধন করতে মীর কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীনদলের মদদে পুলিশ প্রোগ্রামের দিন সকালে মীর কমিউনিটি সেন্টারের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং কর্মসূচী পালনেও বাধা প্রদান করে। প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পরে কর্মসূচী বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

অপরদিকে মঘাদিয়ায় এডভোকেট ফেরদৌস এর বাড়িতে বিএনপির কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় স্থানীয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসময় বিএনপির কাটাছড়া আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী, মঘাদিয়া ইউনিয়ন জাসাস সভাপতি আবুল কাশেম, সাইফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেনকে আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে। আরো আহতরা হলেন ডাক্তার সোলায়মান, এডভোকেট ফেরদৌস, যুবদল নেতা বাবুল, উপজেলা কিএনপির সদস্য সচিব সালাহ্ উদ্দিন চেয়ারম্যান, যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আবসার চেয়ারম্যান, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি জমির উদ্দিনসহ ১৫ জন আহত হয়।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, একটি বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশে বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করছিলো। সেখানেই আওয়ামীলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।

তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাজনীতির সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান।

মঘাদিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে মিরসরাই আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান বলেন, এটি তাদের আভ্যন্তরিন কোন্দলে হয়েছে। নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মিরসরাই সার্কেলের এএসপি মাহবুবুর রহমান মঘাদিয়া থেকে কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে মিরসরাই থানায় আনা হয়েছে বলে জানান। আটককৃতদের অতীত রেকর্ড খুঁজে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।