দিয়াজ হত্যা মামলা: প্রমাণ পেলে আসামিদের ধরবে সিআইডি

চট্টগ্রাম: ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলবে তাকেই গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে।

গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এক আদেশে বলেন, তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রয়োজনে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, সিআইডি, চট্টগ্রামকে প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ, পাসপোর্ট জব্দ এমনকি আসামিদের বিদেশে গমনের উপর নিষেধাজ্ঞাসহ যাতে বিদেশ যেতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হল।

তদন্ত সংস্থা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার আলোকে আমরা কাজ করছি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া কাউকেই আমরা গ্রেফতার করবো না।’

এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বরে দিয়াজের লাশ উদ্ধারের পর দিয়াজের পরিবার দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ময়নাতদন্তের পর ২৩ নভেম্বর চিকিৎসকরা আত্মহত্যার কথা বলেন; ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তিনজন ফরেনসিক চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছিল।

২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় দুই লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধ না করায় দিয়াজের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও পরবর্তীতে তাকে আসামিরা হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ছাত্রলীগ নেতার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে গত ৩০ জুলাই সিআইডি জানায়, দিয়াজের মৃত্যু শ্বাসরোধজনিত হত্যাকান্ড।

দিয়াজের মৃত্যু-রহস্য এখনো উন্মোচন হয়নি। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজের দরপত্র নিয়ে বিরোধ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়ুয়া এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে দিয়াজের জটিলতা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা আসা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘দরপত্র, মেয়ে বন্ধু ও ময়নাতদন্ত- সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের তদন্ত এগিয়ে চলেছে।’