চট্টগ্রাম: কার্যক্রম শুরু হওয়া চলমান তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম ৫০ বছর বছর এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। শনিবার নগরীর জিইসি মোড়ের ওয়েলপার্ক রেসিডেন্সে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। সিডিএ প্রস্তাবিত ও একনেক সভায় অনুমোদিত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন; শীর্ষক ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প, নগরীর লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং কর্ণফুলী তীরবর্তী কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ তিন প্রকল্প ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় অনুমোদন দিয়েছেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ শেষ হবে। যা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। বিশাল সম্ভাবনার ইকোনমিক জোন, শিল্প পার্ক, ডিপসিপোর্ট, বিদ্যুৎ পল্লী, পর্যটন শিল্প, এশিয়ান হাইওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। নির্মিতব্য ফ্লাইওভারটি দক্ষিণ চট্টগ্রামকে বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু হয়েছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবো। যা সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিডিএর নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, উপ-সচিব অমল গুহ, বোর্ড সদস্য জসীম উদ্দিন, জসীম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান প্রমুখ।