রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

হঠাৎ আলোচনায় আসা কে এই রশিদ সিকদার, কী তার পরিচয়?

প্রকাশিতঃ ১০ জুন ২০২৩ | ১২:১০ অপরাহ্ন


একুশে প্রতিবেদক : তিনি ওঠাবসা করেন চট্টগ্রামের আলোচিত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। চড়েন দামি গাড়িতে। মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে গরিব-দুস্থদের সহযোগিতা করতে দেখা যায় তাকে। বিশেষ অনুষ্ঠানে অনুদান দেন লাখ লাখ টাকা। এসব করে চট্টগ্রামে হঠাৎ আলোচনায় আসা রশিদ সিকদারকে নিয়ে জনমনে প্রশ্নের শেষ নেই– কে এই রশিদ সিকদার?

রশিদ সিকদার নিজেকে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শীলবনিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা দাবি করলেও ওই এলাকার ইউপি সদস্য এনামুল হক একুশে পত্রিকাকে বলেছেন, রশিদ সিকদার নামে কারও অস্তিত্ব ওই এলাকায় নাই। এমনকি সিকদার নামে কোনো বংশও শীলবনিয়া এলাকায় নাই। ওই ব্যক্তি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা হতে পারেন।

রশিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি একুশে পত্রিকার কাছে দাবি করেন, চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার চালপট্টি নতুন চাকতাই ঠিকানা দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করেছেন রশিদ সিকদার। এনআইডিতে তার পিতার নাম লেখা আছে মোহাম্মদ সিকদার।

কিন্তু নানাভাবে খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রামের কোথাও রশিদ সিকদারের বংশধরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে প্রশ্ন উঠেছে, রশিদ সিকদারের আসল পরিচয়, উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে।

কথিত রশিদ সিকদারের ছবি দেখানোর পর একাধিক রোহিঙ্গা ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে জানান, রশিদ সিকদার তার আসল নাম নয়। তিনি মিয়ানমারের নাগরিক, পুরাতন রোহিঙ্গা। তার আসল নাম আবুল কালাম। তিনি মাদক, হুণ্ডি ব্যবসা, ও রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরিতে জড়িত।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একাধিক রোহিঙ্গা ব্যক্তি একুশে পত্রিকাকে জানান, ১৯৮৮-৯০ সালের কোনো এক সময় মিয়ানমারের মংডু ভুইছিদং থেকে বাংলাদেশে এসে উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে স্বপরিবারে আশ্রয় নেন আবুল কালাম ওরফে রশিদ সিকদারের পরিবার। ওই সময় দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠা বিদেশি লন্ডন সিগারেটসহ বিভিন্ন বার্মিজ চোরাই পণ্য বহন করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন রশিদ।

এক সময় কুতুপালং থেকে প্রথমে টেকনাফে, পরে চট্টগ্রামের দিকে চলে যায় পরিবারটি। তবে মাঝে মাঝে আবুল কালাম ওরফে রশিদ সিকদার কুতুপালংয়ে আসা যাওয়া করতেন। এক সময় মোটা অংকের বিনিময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে সৌদি আরবে পাড়ি জমান কথিত রশিদ। অথচ তার এক ভাই রোহিঙ্গা পরিচয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তার নাম মনে করতে পারেননি তথ্য প্রদান করা রোহিঙ্গারা।

সৌদি আরবে পাড়ি জমানো একাধিক রোহিঙ্গা ব্যক্তি একুশে পত্রিকাকে জানান, সৌদি আরবের জেদ্দার কিলো আর বাতাশ নামক একটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা এবং মক্কার নাক্কাসা- এই দুটি এলাকায় রশিদকে দেখা যেত। সেখানে বসে তিনি ইন্টারনেট ও হুন্ডির ব্যবসা করতেন। অভিযোগ আছে, ইতিমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে রশিদের নেতৃত্বে একটি চক্র। বর্তমানে রশিদের অনুপস্থিতিতে কয়েকজন রোহিঙ্গা এখনো হুন্ডির কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে তথ্যে প্রকাশ। আর চট্টগ্রামে বসে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন রশিদ সিকদার। বিশেষ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এবং রোহিঙ্গাদের কাছে সৌদি থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠায় চক্রটি।

রশিদের বিষয়ে জানেন ও উখিয়ায় বসবাস করেন এমন একজন রোহিঙ্গা ব্যক্তি বলেন, ‘রশিদ সিকদার চট্টগ্রামের বড় মাফিয়ায় পরিণত হয়েছেন। তিনি হুন্ডির পাশাপাশি মাদকের কারবারে সম্পৃক্ত। প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের থানা থেকে ছাড়ানোসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা ও আশ্রয় দেন রশিদ। তার এমন উত্থান দেখে আমরাও অবাক।’

অভিযোগ আছে, রশিদ সিকদারের সঙ্গে বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড রোহিঙ্গা চিকুন্না এবং আলোচিত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা চিকুন্নাকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এক নাম্বার ইয়াবা মাফিয়া বলা হতো। তিনি এখন মালয়েশিয়া পালিয়ে রয়েছেন। তবে এখনো বাংলাদেশে তার ব্যবসা দেখভাল করছে তার ভাই আবদু রশিদ, কুতুবদিয়ার বাসিন্দা পিয়ারু ও উখিয়ার জাবুসহ আর কয়েকজন। তাদের সঙ্গে রশিদ সিকদারের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি রোহিঙ্গা সূত্রের।

একাধিক রোহিঙ্গার দাবি, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ইয়াবা মাফিয়া নবী হোসেনের সঙ্গে রশিদের যোগাযোগ রয়েছে; আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গভীর তদন্ত করলে যার সত্যতা মিলবে। এই নবী হোসেনকে দেশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তাকে ধরতে গত বছর ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বিজিবি।

রোহিঙ্গারা বলছেন, রশিদের সঙ্গে চট্টগ্রামের একজন মন্ত্রী, মহানগরের একজন সাবেক প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতার সখ্যতা রয়েছে। তারা রশিদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। বিনিময়ে রশিদ এসব নেতাদের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করেন। তাদের পক্ষে নানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেন। তারাও রশিদকে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় করিয়ে দেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রশিদ তার আসল পরিচয় আড়াল করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগ উল্লেখ করে বক্তব্য জানতে চাইলে রশিদ সিকদার একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা। কেউ ষড়যন্ত্র করে ভুল তথ্য দিচ্ছে। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং টেকনাফের শীলবনিয়ার বাসিন্দা। আমার দাদার কবর সেখানে। সবাই আমাদের চিনে-জানে।’

সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবরকে বন্ধু দাবি করে রশিদ বলেন, ‘আমার কাছে খরচ করার জন্য কোটি কোটি টাকা নাই। আপনাকে যারা তথ্য দিচ্ছে সব ভুল। কয়েকদিন আগেও বাবরের কাছ থেকে আমি ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছি।’

রশিদ আরও বলেন, ‘আমার জন্য নিউজ করলে আল্লাহর গজব পড়বে।’ এক পর্যায়ে প্রতিবেদককে ভাই সম্বোধন করে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এবং প্রতিবেদকের সাথে পরিচয় আছে এমন অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে দাবি করে নিউজ প্রকাশ না করে তার সঙ্গে বিশেষভাবে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ জানান।

এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে নিউজ করলে প্রতিবেদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার হুমকি দেন রশিদ সিকদার।

কথিত রশিদ সিকদারের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফের শীলবনিয়া এলাকার ইউপি সদস্য এনামুল হক একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘রশিদ সিকদার কিংবা এনআইডি অনুযায়ী তার পিতা দিল মোহাম্মদ সিকদার নামে কেউ আমার এলাকার বাসিন্দা নয়। এমনকি সিকদার নামে কোনো বংশও আমার শীলবনিয়া এলাকায় নাই। রশিদরা রোহিঙ্গা হতে পারেন।’

এ ছাড়াও শীলবনিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আমিন ও নুরুল আবছারসহ আরও কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন, রশিদ সিকদার তাদের এলাকার বাসিন্দা নয়।

এদিকে রশিদ সিকদারকে প্রশ্রয় ও তার সাথে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘তাকে আমি চিনি চট্টগ্রামের হোটেল ইউনাইটেড থেকে। সে সুবাদে তার সাথে হয়তো বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে মাঝে মধ্যে একত্রিত হয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি কোনো অপরাধ করে থাকলে সেই অপরাধের দায় আমি নিব।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিচয়ের সুবাদে নির্দোষ মনে করে হয়তো দু-এক জায়গায় তার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু রশিদ সিকদার সত্যিকার অপরাধী হয়ে থাকলে আমার করার কিছু নাই। সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত তার করা উচিত।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘রশিদ সিকদার বা রোহিঙ্গা আবুল কালামকে নিয়ে উঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে এনআইডি বাতিল ও সংশ্লিষ্ট আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, অনেক রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনআইডি সংগ্রহ করে বাংলাদেশি বনে গেছেন। এসব রোহিঙ্গারা মাদকের কারবার করছেন, স্থানীয়দেরও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছেন। এভাবে পুরো যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কিছু রোহিঙ্গা।

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রথম জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটন হয়। ২০১৪ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রমজান বিবি নামে এক নারী ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে তৈরি করেন জাল এনআইডি। স্মার্ট কার্ড নিতে চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে সন্দেহবশত তাকে জেরা করা হয়। দেখা যায়, তার জন্মসনদ জাল। অথচ সেই জন্মসনদ ব্যবহার করে তৈরি করা পরিচয়পত্রের তথ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে।

এ ঘটনার পর নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন, এনআইডি উইংয়ের কর্মী শাহনূর মিয়া, অস্থায়ী কর্মী মোস্তফা ফারুক, মো. শাহীন, মো. জাহিদ হাসান এবং পাভেল বড়ুয়াসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।

জয়নাল আবেদিনের কাছ থেকে পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে প্রকাশ হয়, ইসি’র হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করে ২০১৫ থেকে ২১০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাদের এনআইডি পাইয়ে দেওয়া হয়। এদের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা।

এ ঘটনায় দুদক ১১ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেছিল, যে মামলায় চট্টগ্রাম জেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া এবং টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুককে আসামি করা হয়েছিল।

এসব মামলা কার্যত হিমাগারে থাকার মধ্যেই তিন বছর পর আরেকটি জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটন হয়েছে। তবে এবার গোপনে ইসি’র ল্যাপটপ ব্যবহার করে তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এবার সরাসরি ইসি’র চলমান কার্যক্রমের আওতায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের ভোটার করা হচ্ছে এবং এনআইডি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে অনেকে সহজে এনআইডি সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছেন।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নানা কৌশলে ভোটার হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমরা শত চেষ্টা করেও রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টি প্রতিরোধ করতে পারবো না। কারণ, তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরির পর ভোটার হওয়ার জন্য আসে। একজন নাগরিকের ভোটার হওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়, তারা সবগুলোই দিতে পারছে। নিজের জন্মসনদ, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, সবকিছু জোগাড়ের পর তারা নির্বাচন কমিশনে আসে। কাগজপত্রগুলো ঠিক থাকায় সবসময় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।’ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের সব কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিচ্ছে বলেও দাবি করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার।