চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় চোরাচালানের ধারায় করা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে নারাজি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই নারাজি আবেদন বুধবার গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২৩ অগাস্ট শুনানির দিন ঠিক করেছেন মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, খান জাহান আলী লিমিটেডের আনা সূর্যমুখী তেলের মধ্যে কোকেন এসেছিল। সেই কোম্পানীর মালিক নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তাই আমরা আদালতে নারাজি জানিয়েছি।
গত ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে পরীক্ষা করে তাতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ওই বছর ২৮ জুন বন্দর থানায় খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ ও কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। আদালত পরে মামলায় চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় র্যাব। সেখানে নূর মোহাম্মদকেও আসামি করা হয়। এদিকে কোকেন আটকের ঘটনায় চোরাচালানের ধারায় করা মামলাটি তদন্ত করেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান। চোরাচালানের মামলাটির তদন্ত শেষ করে গত ১৪ মে নূর মোহাম্মদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে ওই অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে আটজনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মো. মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মন্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্যের নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।