জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত : হালদা দেশের একমাত্র নদী, যেখান থেকে সরাসরি রুই বা কার্প জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। তবে যথাযথ পরিকল্পনার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে মাছের ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ডিম নষ্ট হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তা-ব্যক্তিদের গাফিলতি আর গা-ছাড়া ভাবকেই দায়ী করছেন জেলেরা।
হালদার ডিম সংরক্ষণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হ্যাচারি থাকলেও এসব হ্যাচারির অব্যবস্থাপনা নিয়েই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। জানা যায়, হালদা নদী ঘিরে মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় ৪টি করে মোট ৮টি হ্যাচারি আছে। রাউজানের ৪টি হ্যাচারির মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র একটি (মোবারকখিল) চালু আছে। বাকি ৩টি (ছিপাহিরঘাট নিউ হ্যাচারি, মঘাশাস্ত্রি ও কাগতিয়া সুইচ গেট হ্যাচারি) অকেজো পড়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। অন্যদিকে হাটহাজারীর ৪ টির মধ্যে গড়দুয়ারা হ্যাচারি হালদার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেলেও বাকি ৩টি (বড়ুয়া পাড়া, শাহমাদারী, ও মাছুয়া ঘোনা) হ্যাচারি চালু আছে।
অন্যদিকে হালদার মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন কাজে থাকা এনজিও সংস্থা আই.ডি.এফ হালদা প্রকল্পের আওতায় রাউজানের গড়দুয়ারা অংশের চিপাহীঘাট এলাকায় একটি হ্যাচারি আছে। জেলেরা জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই হ্যাচারি সরকারি হ্যাচারিগুলোর তুলনায় বেশ পরিপাটি, ব্যবস্থাপনাও সন্তোষজনক। প্রতিবছর প্রায় ৩০ জন ডিম সংগ্রহকারী এই হ্যাচারিতে ডিম ফোটানোর সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রায় দেড়শ কেজি ডিম থেকে রেণু ফোটানোর ব্যবস্থা আছে এই হ্যাচারিতে। উক্ত হ্যাচারিতে প্রতিবার ডিম ফোটাতে চৌবাচ্চা প্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে হয় আইডিএফকে।
অভিযোগ আছে, মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা কমিটি করার কথা থাকলেও এমন কোনো কমিটিই নেই। বছরের অন্যান্য সময়ে অযত্নে–অবহেলায় সিমেন্টের তৈরি চৌবাচ্চাগুলো ফেলে রাখা হয়। হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজে ব্যবহৃত পানি তোলার মেশিনও বেশিরভাগ সময় অচল থাকে। মা মাছ ডিম পাড়ার ঠিক মুহূর্তে লোকদেখানো পরিষ্কার করা হলেও এর ভিতরটা থাকে অপরিচ্ছন্ন ও জীবাণুতে ভরা। সাধারণত কৃত্রিম চৌবাচ্চায় ৭০ শতাংশ ডিম থেকে রেণু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এসব সরকারি হ্যাচারিতে এই সংখ্যাটি প্রায় ১৫ শতাংশ কমে এসেছে বলে জানান জেলেরা।
তাছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এসব হ্যাচারিতে বিনামূল্যে ডিম ফোটানোর সুযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রজনন মৌসুমে চৌবাচ্চা প্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে হয় জেলেদের। সরকারি হ্যাচারির এমন বেহাল দশার কারণে হালদা থেকে বেশিরভাগই জেলেই প্রাচীন পদ্ধতিতে নদীর পাড়ে মাটির কুয়া তৈরি করে তাতে ডিম সংরক্ষণ করে রেণু ফোটান। এ পদ্ধতিতে জেলেরা কুয়ায় নদীর ঘোলা পানিতে ডিম সংরক্ষণ করেন। রেণু ফোটার পরে ৪ দিন এই রেণুগুলোকে এক কুয়া থেকে অন্য কুয়াতে সুতি কাপড়ে নদীর পানি দিয়ে স্থানান্তর করা হয়। স্থানান্তরের সময় অনেক রেণু মারা যায়। রাউজান-হাটহাজারী উপজেলার হালদা পাড়ে বর্তমানে প্রায় ৬০টি মাটির কুয়া আছে।
হালদা নদী ঘিরে হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, ‘একটা হ্যাচারি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে বেশ কিছু বিষয়ে নজর দিতে হয়। যেমন চৌবাচ্চাতে ডিম রাখার পর যে পানিগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো অবশ্যই পুকুরের পরিষ্কার পানি হতে হবে। কিন্তু আমার জানা মতে মদুনাঘাট হ্যাচারি ছাড়া বাকি হ্যাচারিগুলোর একটিতেও পুকুর নেই। নদীর ঘোলা ও অপরিষ্কার পানি চৌবাচ্চাতে দেওয়া হয়। যার কারণে বেশিরভাগ ডিমই নষ্ট হয়ে যায়। অথচ ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রতিটি হ্যাচারিতে পুকুর থাকা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছরের অন্যান্য সময় হ্যাচারিগুলো থাকে অযত্ন–অবহেলায়। এসব দেখভালের জন্য কোনো লোকই থাকে না। শুধুমাত্র প্রজনন মৌসুমে কিছুটা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এতে ডিম ফোটার পরিবেশ তৈরি হয় না। এককথায় মদুনাঘাট হ্যাচারি ছাড়া বাকি একটা হ্যাচারিও গুণগত মানের না। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু তারা যদি নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করে তাহলে আমি-আপনি তো কিছু করতে পারবো না। এসব বিষয়ে নজরদারির পাশাপাশি জেলেদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’
হালদা নদীতে প্রায় ৩৫ বছর ধরে ডিম সংগ্রহ করে আসছেন কামাল সওদাগর। তার মতে, ডিম সংগ্রহ থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিম নষ্ট হয়, ডিম থেকে রেণু ফোটার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সময়। এক্ষেত্রে তিনি সরকারি হ্যাচারির নানামুখী অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি হ্যাচারির সংখ্যা খুব কম। তাছাড়া সরকারি হ্যাচারি বেশিরভাগ সময়ই থাকে অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। যার কারণে মাছের ডিম রেণুতে পরিণত হওয়ার আগেই কিছু কিছু সরকারি হ্যাচারিতে মারা যায়। অতীতে এ কারণে অনেক ডিম সংগ্রহকারী জেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডিম সংগ্রাহক কামাল বলেন, ‘আধুনিক পদ্ধতিতে হ্যাচারিতে ডিম ফোটালে ভালো ফলাফল পাওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। হ্যাচারিতে ডিম ফুটে বের হওয়া পোনা বেশ দুর্বল হয়, ফলে পুকুরে ছাড়লে তার বেশিরভাগই মারা যায়। কিন্তু মাটির কুয়াতে সংরক্ষণ করা ডিম থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ পোনা পাওয়া যায়। সেসব পোনা দ্রুত বর্ধনশীল ও শারীরিক গঠন ভালো হয়। অন্যদিকে কৃত্রিম কুয়ার পোনার বৃদ্ধি অনেক কম। তাই এবারও ডিম সংগ্রহ করার প্রস্তুতিতে থাকা বেশিরভাগ জেলেই মাটির কুয়া তৈরি ও আগের কুয়া সংষ্কার করেছেন।’
হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘হ্যাচারি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মৎস্য বিভাগের। তবে গত বছর থেকে সরকারি হ্যাচারিগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব ইউএনও–কে দেওয়া হয়েছে। তারপর আমি নিজে জেলে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সাবমার্সিবল পাম্প বসানো, চৌবাচ্চা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ হ্যাচারিকে ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। যার কারণে জেলেরা অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পোনার সংগ্রহ ও সংরক্ষণে বেশি সুফল পাবেন।’
এদিকে, কার্পজাতীয় মাছের ডিম আহরণ করতে গিয়ে অবহেলার কারণে বিলুপ্ত হতে চলছে ‘হোয়াইট গোল্ড’ খ্যাত চিংড়ি মাছের পোনা। হালদায় বাগদা ও গলদাসহ ৯ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। বিশ্ববাজারে মৎস্য রপ্তানির সর্বোচ্চ খাত চিংড়ির হলেও হালদার চিংড়ি পোনা সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগই নিতে দেখা যায় না। স্থানীয় পোনা উৎপাদনকারীদের ভাষ্যমতে, কার্পজাতীয় মাছের ডিম নিয়ে ডামাডোলে ব্যস্ত সকলেই। ফলে চিংড়ির দিকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। চিংড়ি পোনা নষ্টের বিষয়টি নজরেই নেই মৎস্য অধিদপ্তরের। কার্পজাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহের পাশাপাশি চিংড়ি পোনা সংরক্ষণ ও চিংড়িসহ অন্য পোনা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য জেলেদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও উপেক্ষিত হয়ে আছে বছরের পর বছর।
হালদা গবেষকদের মতে, চিংড়ি ধ্বংসের প্রধান কারণ দুটি। আর এই দুটিই হয়ে থাকে জেলেদের মাধ্যমে। প্রথমত, কার্পজাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহের মূল সময়টাতে ডিমের সাথে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ চিংড়ি পোনা জেলেদের জালে উঠে আসে। রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশের ডিম আহরণের সময় জালে আটকা পড়া চিংড়ির পোনা জেলেরা সরাসরি ফেলে দেয়। যেগুলো পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, প্রতিবছর কর্ণফুলীর মুখ থেকে মাদারীখালের মুখ পর্যন্ত প্রায় ৫শ’ মানুষ ঠেলাজাল, ঘিরাজালের মত বিধ্বংসী জাল দিয়ে অবাধে পোনা ও চিংড়ি শিকার করে। জালে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি থাকলেও শুধুমাত্র গলদা চিংড়ি রেখে বাকিগুলো নদী ও পাড়েই ফেলে দেয়। তখনই সেগুলো মারা যায়।
এছাড়া শীত মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহ কমে গেলে কিছু স্থানীয় জেলে বাঁশের তৈরি চাঁই দিয়ে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করেন। সন্ধ্যার আগে গোবর ও ধানের কুঁড়ার মন্ড চাঁইয়ের ভেতর দিয়ে মুখ আটকে রাখেন। এরপর হাঁটু পানিতে ডুবিয়ে সেগুলো বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আটকে দিয়ে, পরদিন ভোরে ওই চাঁই তুললে অনেক চিংড়ি পোনা পাওয়া যায়। অনেকে আবার রাতে মিহি সুঁতার জাল টেনে পোনা আহরণ করে থাকেন। বাকি ৯-১০ মাস জেলেরা নদীতে জাল ফেলে সরাসরি চিংড়ি শিকার করেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। মৎস্য কর্মকর্তারাও এসব জানেন, কিন্ত তারা কিছুই করেন না বলে অভিযোগ। ফলে একসময়ে হালদার গলদা চিংড়ির রমরমা অবস্থা এখন আর নেই।
যদিও ২০২০ সালে হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণার সময় হালদায় মাছ এবং জলজ প্রাণী শিকার করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। মৎস্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে প্রজনন মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে শুধুমাত্র মাছের নিষিক্ত ডিম আহরণ করার কথা থাকলেও মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বিকার ভূমিকায় এই নির্দেশনা অমান্য করেই চলে চিংড়ির পোনা শিকার। এভাবে প্রতি বছর মার্চ-জুন এই ৪ মাস গলদা রেণুর সাথে আসা হালদা নদীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মাছের পোনাও নষ্ট হচ্ছে। এসব ঘটনায় হালদা নদীর চিংড়ির অপার সম্ভাবনা ধ্বংস হচ্ছে।
হালদা গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হালদা নদীতে মা মাছের আহরিত ডিমের মত বর্ষা মৌসুমে ঐ ডিমের পাশাপাশি চিংড়ি পোনা আহরণ করে যদি সংরক্ষণ করা হয়, অথবা শীত মৌসুমে মিহি সূতার জাল টেনে চিংড়ি পোনা আহরণ করা, খুবই সহজ। এ পোনা বিক্রি করে পুকুর-দীঘিতে অবমুক্ত কিংবা পোনা বিক্রি করে মোটা অংকের রাজস্ব আয় সম্ভব। এটিও দেশের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে পরিগণিত হতে পারে। কিন্তু কার্পজাতীয় মাছকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সম্ভাবনাময় এই খাতকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগসহ হালদা নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
হ্যাচারির অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি হ্যাচারিতে ডিম ফোটার সাফল্যের হার বেশি হওয়ায় প্রায় সবাই এখানে ডিম ফোটাতে চায়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় সবাইকে আমরা হ্যাচারি ব্যবহারের সুযোগ দিতে পারি না বিধায় আগে থেকেই আগ্রহীদের নিয়ম অনুসরণ করে বরাদ্দ দিতে হয়। তারপরও এমন অভিযোগ আসলে কী করার আছে বলুন। আমি মনে করি যারা এসব অভিযোগ করছে তাদের সরকারি হ্যাচারি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।’
অবাধে চিংড়ির পোনা ধরার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে হালদা কার্পজাতীয় মাছের অভয়াশ্রম। চিংড়ি কিংবা অন্যান্য মাছের জন্য হালদা কিন্তু অভয়াশ্রম না। তাই আমাদের প্রধান টার্গেট কার্পজাতীয় মাছ। যদিও হালদায় যেকোনো মাছ ধরা নিয়মবহির্ভূত। তারপরও স্থানীয় জেলেরা ঠেলাজাল দিয়ে চিংড়ির পোনা ধরে থাকেন। প্রথমত লোকবল সংকট, দ্বিতীয়ত দীর্ঘ হালদায় কখন কে, কোথায় চিংড়ি মাছ ধরছে তা পাহারা দেওয়াও কষ্টসাধ্য। তবে মাছ ধরা বন্ধ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’