চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় তদন্তের প্রয়োজনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবে তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সি মুশিউর রহমান এই আদেশ দেন।
বাদির আইনজীবি আবু মনসুর বলেন, প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেফতার এবং তাদের পাসপোর্ট জব্দ করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার আদালত এই আদেশ দিয়েছে। এর আগে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আদালত আরেকটি আদেশ দিয়ে সিআইডিকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এদিকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের পেশকার মো. ফারুক বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেনি। আদেশে আদালত বলেছেন, প্রয়োজন হলে সিআইডি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবে।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বরে দিয়াজের লাশ উদ্ধারের পর দিয়াজের পরিবার দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ময়নাতদন্তের পর ২৩ নভেম্বর চিকিৎসকরা ‘আত্মহত্যা’র কথা বলেন; ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তিনজন ফরেনসিক চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছিল।
২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ কর্মী অর্থনীতি বিভাগের রাশেদুল আলম জিশান, মার্কেটিং বিভাগের আবু তোরাব পরশ, অর্থনীতি বিভাগের মনসুর আলম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের আবদুল মালেক, ছাত্রলীগের আপ্যায়ন সম্পাদক ইতিহাস বিভাগের মিজানুর রহমান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরিফুল হক অপু ও বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ আরমানকে।
পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ছাত্রলীগ নেতার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে গত ৩০ জুলাই সিআইডি জানায়, দিয়াজের মৃত্যু শ্বাসরোধজনিত হত্যাকান্ড।