চট্টগ্রাম: জামিন মুক্তি পেয়ে এবার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ। তার অভিযোগ, কসকো শিপিং লাইনসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান ও তিনজন ব্যক্তি ভোজ্য তেলের নামে তাকে কোকেন পাঠিয়েছে। রোববার চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের হয়েছে।
মামলায় বিবাদি করা হয়েছে নূর মোহাম্মদের ব্যবসায়িক অংশীদার গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং লন্ডনপ্রবাসী ফজলুর রহমান ও মো. বকুল মিয়া। বিবাদির তালিকার আরও আছে- কসকো কনটেইনার লাইনস, কসকো (বাংলাদেশ) শিপিং লাইনস, এস আর এল, সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিকস, এমভি থরোসটিলিয়ান, পিআইএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং বলিভিয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বাদির আইনজীবি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিবাদিরা ভোজ্য তেলের নামে কোকেন পাঠিয়েছে। এতে বাদির কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। অথচ তাকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। এজন্য ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ। আদালত মামলা গ্রহণ করে ৪ অক্টোবর আসামিদের হাজিরের জন্য সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে আসা সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পরে তেলের চালানের ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মামলা হয়। তদন্তের পর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আটজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে গত ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। কোকেন কাণ্ডে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি গ্রেফতার হন নূর মোহাম্মদ। গত ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান এই ব্যবসায়ী।