চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। একই সাথে দিয়াজের মৃত্যু ‘হত্যামূলক’ বলেও উল্লেখ আছে সেখানে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ গত বছরের ২০ নভেম্বর তার ক্যাম্পাসের বাসা থেকে উদ্ধারের পর থেকে হত্যার সন্দেহের কথা বলে আসছিল তার পরিবার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম দফা ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে হত্যা মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।
বাদির আবেদনে আদালতের নির্দেশে ১১ ডিসেম্বর দিয়াজের লাশ পুনঃময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকেরা। প্রায় সাড়ে সাত মাস পর গত শনিবার পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থা সিআইডিকে দেয় ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, সংগৃহীত নানান আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দিয়াজের পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে শনিবার তুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে সেসব জানানো উচিত হবে না।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির একটি সূত্র বলেন, পুণরায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজের মরদেহে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ আছে। তার মৃত্যুকে হত্যামূলক হিসেবে উল্লেখ আছে।
তবে হত্যামূলক উল্লেখ থাকার বিষয়টি সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখনই স্বীকার করতে রাজী নন। তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবির বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে আমি এখনো সেটা ভালোভাবে দেখিনি। যার কারণে সেখানে কী কী রয়েছে তা এখনই বলতে পারছি না।
সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, প্রতিবেদন এসেছে মাত্র। বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়নি। যদিওবা সবার আগ্রহ আছে বিষয়টি নিয়ে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা বিষয়টি দেখছেন। আশা করছি সোমবার আমরা পরিষ্কার করতে পারবো।