মোর্শেদ নয়ন : নবগঠিত কর্ণফুলী উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোকানিবিহীন ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার সকালে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ একযোগে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোকানিবিহীন ‘সততা স্টোর’ উদ্বোধন করেন।
দেশে প্রথমবারের মতো নবসৃষ্ট চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একযোগে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়েই এরকম দোকান চালু করা হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, বর্তমানে সততা ও নৈতিকতার অবক্ষয় সমাজে মহামারি আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়া করলে হবে না, তাদের মধ্যে নীতি, নৈতিকতা, সততা ও মূলবোধ জাগ্রত করতে হবে। সততা স্টোর এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। শৈশব থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সততার চচায় উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এই কার্যক্রম হবে দেশের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলজনক।
এ উপলক্ষে উপজেলার চরলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উদ্দিন মুরাদের সভাপতিত্বে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোলায়মান তালুকদারের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার, দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কর্ণফুলী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রণি, পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার বিল্লাহ, কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আবু তালেব, এমএ সালাম, ওসমান গনি মেম্বার, মেসবাহ উদ্দীন খান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় চ্যাটার্জী, আ’লীগের নেতা রফিক আহমদ, হারুনুর রশিদ, মিল্কভিটার পরিচালক নাজিম উদ্দীন হায়দার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহেদুর রহমান শাহেদ, উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারী সেলিম হক, আ’লীগের নেতা জসিম উদ্দীন, মো. সেলিম উদ্দীন, মো. শাহজাহান, যুবলীগ নেতা শহিদুল্লাহ, মো. সেলিম, দেবরাজ রতন, মোহাম্মদ হোসেন, লোকমান হাকিম, জাহাঙ্গীর আলম, ওমর ফারুক বিজয়, নিজাম উদ্দীন নয়ন, ছাত্রলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ নাঈম, সালাউদ্দীন টিপু, সাজ্জাদ হোসেন, সালাউদ্দীন নয়ন, আনিচুর রহমান, সাইফুদ্দীন, আবদুল্লাহ আল মামুন, নুরুল হক, এসএম জাকারিয়া, মোরশেদ প্রমুখ।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান উদ্দিন মুরাদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, এই দোকানে প্রয়োজনীয় পণ্য থাকলেও থাকবেন না কোনো দোকানি। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পণ্য কিনে নির্ধারিত মূল্য দোকানের ক্যাশবাক্সেই রেখে আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। সততা স্টোরে দোকানদার না থাকলেও প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিবেক-ই দোকানদারের ভূমিকা পালন করবে।
ইউএনও আরও বলেন, উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ ৩৪টি বিদ্যালয়েই ‘সততা স্টোর’ চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং কলেজেও একইভাবে ‘সততা স্টোর’ চালু করা হবে।’