চট্টগ্রাম: ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রতিবেদনটি ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন।
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে হত্যা মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। সেসময় আদালত মামলাটি তদন্তে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল; তবে তদন্তের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামে গুজব ওঠে দিয়াজ হত্যা মামলায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সিআইডি! এ প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার রাতে একুশে পত্রিকাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেদনটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যতটুকু জানি এখনো অনুমোদন হয়নি।’
সিআইডির কাজে শুক্রবার ঢাকায় অবস্থানের তথ্য জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দিয়াজের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবির ও আমি ঢাকায় আছি। প্রতিবেদনটি অনুমোদন হলে তো আমি জানতাম।’
প্রতিবেদনে কী আছে সেসব জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন।
ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ গত বছরের ২০ নভেম্বর তার ক্যাম্পাসের বাসা থেকে উদ্ধারের পর থেকে হত্যার সন্দেহের কথা বলে আসছিল তার পরিবার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম দফা ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে হত্যা মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।
এদিকে বাদীর আবেদনে আদালতের নির্দেশে ১১ ডিসেম্বর দিয়াজের লাশ পুনঃময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। তারা দিয়াজের দেহে জখম পাওয়ার কথা জানান। গত ১ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন এই চিকিৎসকরা।
গত ১৮ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেছিলেন, দিয়াজের রিপোর্ট নিয়ে আরেকটু কাজ বাকি আছে। আমাদের মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা নিয়ে আমরা ব্যস্ত। তাই রিপোর্টটা দেয়া যায়নি। ভাইভা পরীক্ষা শেষ হলে রিপোর্ট দিয়ে দেব।
রিপোর্ট দিতে কতদিন লাগতে পারে প্রশ্নে সে সময় ডা. সোহেল মাহমুদ জবাব দেন, ‘মাসখানেক লাগতে পারে।’
কিন্তু দিয়াজের লাশ পুনঃময়নাতদন্ত করার সাড়ে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ।