চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগানের বাংলোয় একসঙ্গে ফুটেছে চারটি নাইট কুইন। বুধবার রাতে পবিত্রতা ও সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে দুর্লভ এই ফুল। ৫ বছর আগে নিজের বাংলোয় এই ফুলের গাছ লাগিয়েছিলেন চা বাগানের সিনিয়র সহকারি ব্যবস্থাপক রাসেল মাহমুদ রুবেল।
চোখের সামনে আকস্মিক রাতের রাণীর আগমনে আনন্দে ভাসছেন বাগান ব্যবস্থাপক রুবেলসহ বাগানের অন্যান্যরা। এক রাতের এই অতিথিদের এক নজর দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের অনেক মানুষ। তারা দেখছেন অন্ধকার ভেদ করে অদ্ভুত আলোকরশ্মি হয়ে আসা রাতের চার রাণীকে।
প্রকৃতিতে দুর্লভ ফুল নাইট কুইন। সচরাচর যা চোখে পড়ে না। নাইট কুইনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর পর্যন্ত। শুধুমাত্র রাতের আঁধারে ফুটে এ ফুল। এই কারণে নাম হয়েছে নাইট কুইন। অনেকে একে সৌভাগ্য ও পবিত্রতার প্রতীক মনে করেন।
যে রাতে ফুল ফুটে সেদিন বিকালেই কলিটি অদ্ভুত সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। তখন এটির দিকে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায় রাতের রাণী আসছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে। পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেলে আস্তে আস্তে মেলতে শুরু করে নাইট কুইনের কলি।
রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি দুটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। রাত ১২টায় পূর্ণতা পায় এই ফুল। তখন মিষ্টি এক ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ গন্ধে তীব্রতা না থাকলেও আছে এক ধরনের অদ্ভুত মাদকতা, যা যে কোনো মানুষকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট।
উচ্ছ্বসিত বাগানের সিনিয়র সহকারি ব্যবস্থাপক রাসেল মাহমুদ রুবেল একুশে পত্রিকাকে বলেন, অনেক ভালো লাগছে। এ ভালোলাগা অসীম অপরিমেয়। সাথে রাতের রাণীদের হারানোর কাতরতাও পেয়ে বসেছে। রাত পেরুলেই বিদায় নেবে তারা। চাইলেও তাদের আটকানো যায় না। তারা এমনই! হঠাৎ করে আসে। তারপর সুঘ্রাণ ছড়িয়ে চলে যায়।