চট্টগ্রাম: ভারতীয় শিক্ষার্থী আতিফ শেখ খুনের ঘটনায় তার আরেক সহপাঠী মাইসন্যাম উইনসন সিংকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনদিনের হেফজতে পেয়েছে পুলিশ। সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া এই আদেশ দেন।
এর অাগে রোববার রাতে নগরী মেহেদীবাগ এলাকা থেকে উইনসন সিংকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, উইনসন মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হয়ে ওঠায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর উইনসনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পিবিআই। আদালত তিনদিন মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত গত ১৪ জুলাই রাতে নগরের আকবর শাহ থানার আব্দুল হামিদ সড়কের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় আতিফকে। ওই বাসা থেকে আতিফের সহপাঠী আরেক ভারতীয় উইলসন সিংকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলার ওই ফ্ল্যাটের এক কক্ষে আতিফ ও আহত ভারতীয় ছাত্র উইলসন থাকতেন। ওই ফ্ল্যাটেই পাশের কক্ষে মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে থাকেন আরেক ভারতীয় ছাত্র নিরাজ। নিরাজের মেয়ে বন্ধুও ভারতীয় এবং তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির ছাত্র। এদের চারজনেরই বাড়ি ভারতের মণিপুরে।
এদিকে আতিফ শেখ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা আব্দুল খালেক। মামলায় সুনির্দিষ্ট কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় আটজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন নিহতের বাবা। সন্দেহভাজনদের মধ্যে ওই বাসা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া উইলসন সিং, ওই বাসার বাসিন্দা নিরাজ গুরু ও তার মেয়ে বন্ধু ছাড়াও আরও তিনজন ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং দুইজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছেন। ১৯ জুলাই নিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার আদালত নিরাজ গুরুর দুই দিন রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, নিরাজ গুরুকে এখনও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করিনি।