একুশে প্রতিবেদক : চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির বড় জমায়েতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ বেড়েছে। আওয়ামী লীগও বড় জমায়েতের মাধ্যমে বিএনপির লোকসমাগমের জবাব দিতে চাইছে। যদিও এটা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন কিছু নয়। কারণ টানা তিনবার সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগের ভেতর বিপুল সুবিধাভোগী যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি প্রশাসন-যন্ত্রও স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতাসীন দলটিকে সহায়তা দিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভার আয়োজন করে শক্তি দেখাতে চায় প্রাচীন দলটি।
সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন, পলোগ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ করতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রয়োজন হয়। এই মাঠেই গত ১২ অক্টোবর গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। সেদিন সকাল থেকেই পলোগ্রাউন্ডমুখী জনস্রোত দেখা যায়, আর দুপুর হতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ। এই পলোগ্রাউন্ডেই আগামী ৪ ডিসেম্বর নেতাকর্মীদের ঢল নামাতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেটি কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়েই এখন থেকে টেনশন ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
যদিও চট্টগ্রাম নগরের সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে প্রতিদিনের মিটিংয়ে আ জ ম নাছির নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করছেন এই বলে, ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা হবে। ১০ বছর পর দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসছেন। তাকে দেখার জন্য চট্টগ্রামের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে– ইত্যাদি।
এরপরও জনসভায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে আ জ ম নাছিরের ভেতরে টেনশন ও দুশ্চিন্তা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ এই জনসভা সফল করার উপর নির্ভর করছে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান। জনসভার পর ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলনেও পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।
এর কারণ হচ্ছে, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বেশি আ জ ম নাছিরের কর্মী, সমর্থক ও অনুসারী আছে বলে মনে করা হয়। আ জ ম নাছির নিজেও সেটা বিভিন্ন সময় প্রচার করেছেন। ফলে এমন প্রবাদ রচিত হয়েছে যে, আ জ ম নাছির ডাক দিলে মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হবেন। আগামি ৪ নভেম্বরের শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রেস্টিজিয়াস জনসভায় বাস্তবে সেই ধারণা ও প্রবাদ-প্রবচনের প্রতিফলন কতটুকু হচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়।
১৯৯৬ সালে রাজধানীর হোটেল রয়েল প্যালেস থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারামুক্তির পর লালদিঘির পাড়ে গণসংবর্ধনায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটিয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেসময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে লোক সমাগমের জন্য শত শত বাস দিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে গ্রেপ্তার হওয়া আ জ ম নাছিরের সামনে তখন প্রতিপক্ষ একসময়ের ছায়া-সুহৃদ জাঁদরেল নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাদের সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকতে এ ধরনের শোডাউনের বিকল্প ছিল না তখন নাছিরের সামনে।
বাস্তবতা হচ্ছে, যখন এই বিশাল শোডাউন করেছিলেন তখন আওয়ামী লীগে কোনো পদ-পদবি ছিল না আ জ ম নাছিরের। বর্তমানে সকল ষড়যন্ত্র ডিঙ্গিয়ে রাজনীতিতে অনেক ম্যাচিউরড, শক্ত-পোক্ত আ জ ম নাছির। মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পেছনে ফেলে মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হয়ে নগরপিতার চেয়ারে বসেছিলেন টানা ৫ বছর। ৯ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিট চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলা চলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রয়াণের পর নগরের অঘোষিত ‘সভাপতি’ তিনি। তার একক অর্থে, মেধায়, শ্রমে, দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
বার্ধক্য, অসুস্থতাসহ নানান সীমাবদ্ধতার কারণে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী আ জ ম নাছিরের উপর সাংগঠনিক দায়িত্ব তুলে দিয়ে বরাবরই ভারমুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। অনেকে বলে থাকেন তিনি অলংকারের মতো, তৈরি মিটিংয়ে কেবল বক্তৃতা দেওয়াই তার সাংগঠনিক কাজ। এত বড় সংগঠন কীভাবে চলছে সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার মতো সক্ষমতা তার নেই। অবশ্য নাছিরও তাতে অখুশি নন; বরং তাকে নিরাপদ ও সংবেদনশীল মনে করেন নাছির।
অবশ্য এই ‘নিরাপত্তার’ বিপরীতে আ জ ম নাছিরের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য প্রতিপক্ষ এখন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু।
এছাড়া মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৈরি করা ফরম্যাটের নেতাকর্মীদের নিয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থানে আছেন তারই সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
জনশ্রুতি আছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত এই দুই গ্রুপ (তারা আবার এক) আ জ ম নাছিরের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা কামনা করা দূরের কথা; বরঞ্চ তাকে ব্যর্থ, অকার্যকর প্রমাণে ভেতরে ভেতরে মরিয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৪ নভেম্বরের জনসভায় ব্যাপক মানুষের সমাগম না হওয়ার দায়ভার বা ব্যর্থতা তাদের চেয়ে আ জ ম নাছিরের বেশি। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের বড় পদবী ধারণ করে আছেন। অবশ্য প্রথমোক্ত ৬ জনের কোনো দায়ভার আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও ব্যারিস্টার নওফেলের দায়ভার নেই একথা বলা যাবে না। কারণ তিনি সরকারের উপমন্ত্রী এবং নগর আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের নেতা। সুতরাং এর দায়ভার তিনিও এড়াতে পারবেন না বলে মনে করেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।
তবে যাই হোক, সকল সমীকরণ সামনে রেখে আ জ ম নাছির চাইছেন তার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে। জনসভার ১৯ দিন বাকি থাকতেই নেতাকর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার জনসভাস্থল ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড পরিদর্শন করেছেন আ জ ম নাছির।
জানা গেছে, এই জনসভা নিয়ে খুব বেশি টেনশন নেই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই দুই নেতার রাজনৈতিক মিশন-ভিশন তেমন নেই।
মোসলেম উদ্দিন সেক্রেটারি ও সভাপতির শীর্ষ পদে আছেন টানা ৩৫ বছর। পটিয়া থেকে দুবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। রাজনীতিতে যশ, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা, প্রভাব সব পেলেও এমপি হতে পারেননি। জীবনে একবার এমপি হতে না পারার আক্ষেপটাই ছিল শুধু। ২০১৯ সালের নভেম্বরে মাঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে চোখের নোনাজল সঙ্গী করে মনোনয়ন আনতে সক্ষম হন দলীয় প্রধানের কাছ থেকে। এবার সেই চিরস্বপ্ন ধরা দেয়। এমপি হয়ে যান তিনি। সেই পদ ‘এনজয়’ করছিলেন। এরমধ্যেই সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭৫ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন। জীবনে সব পাওয়া মোসলেমের আর আক্ষেপ যেমন নেই, নেই তেমন মিশন-ভিশন। এখন কেবল টুকটাক তৈরি মিটিংয়ে যাচ্ছেন, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়ে চলে আসছেন। সুতরাং ৪ নভেম্বরের জনসভা নিয়ে তেমন কোনো চাপ বা টেনশন নেই মোসলেম উদ্দিনের।
একই অবস্থা দলের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানেরও। আগামি ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি ফের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তবে এ পদে আসতে না পারলেও তার তেমন কোনো কষ্ট থাকার কথা নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র বলছে, দীর্ঘ ৯ বছরের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে জনগণের নেতা হওয়ার পরিবর্তে ব্যক্তি মফিজকে তিনি ঘুচিয়ে নিয়েছেন। সরকারের স্বর্ণালী সময়গুলোতে এই পদবি ব্যবহার করে পেয়েছেন সম্মান, সমীহ, যশ। কামিয়েছেন অর্থবিত্ত। সেক্ষেত্রে না পাওয়ার কোনো বঞ্চনা বা বেদনা নেই মফিজুরের।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ প্রাপ্তিটা ছিল মফিজুর রহমানের জন্য মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পাওয়ার মতো। কারণ দক্ষিণ জেলায় তিনি কখনো রাজনীতি করেননি। সাতকানিয়ার খাগরিয়ায় বাড়ি হলেও রাজনীতি করেছেন চট্টগ্রাম শহরে। ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে ঠাঁই না পেয়ে দক্ষিণ জেলায় আশ্রয় খুঁজতে গিয়েছিলেন। আর সেই আশ্রয় খোঁজাটা তার জন্য ‘শাপেবর’ হয়ে এসেছিল। ভাগ্যক্রমে একেবারে দক্ষিণ জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদেই আসীন হয়ে যান। অথচ তার সমসাময়িক অনেকেই (মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ) কিংবা রাজনীতিতে তার চেয়ে বেশি অবদান আছে এমন অনেকেই রাজনীতিতে মূল্যায়িত হননি। পাননি একটি ছোট পদও।
রাজনীতির মাঠে ‘ভাগ্যের বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিত মফিজুর রহমানের প্রাপ্তি এখন গলায় গলায়। তার সুহৃদরাই বলছেন, মফিজুর রহমানের কাছে পরিশ্রম ও ম্যাকানিজম করার শক্তি-সামর্থ যেমন নেই, শেখ হাসিনার জনসভা সফল করা নিয়েও তেমন মাথাব্যথা নেই। তবে দলীয় ফোরামে এ লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মিটিং ও প্রস্তুতি সভাগুলোতে আসন অলংকৃত করার কাজটুকু তিনি ভালোই করতে পারবেন।
অন্যদিকে, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য বিদায়ী চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক এম এ সালামও জনসভা সফল করতে নানা প্রস্তুতিমূলক সভা করছেন। টানা ৯ বছর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের দুইবার প্রশাসক ও একবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা এম এ সালাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার মনোনয়নবঞ্চিত হন। দলের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সোমবার শপথ নিয়েছেন ফটিকছড়ি থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
জানা যায়, মনোনয়ন-বঞ্চিত হওয়ার পর হাসিমুখে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও মনের গহীনে কিছুটা ক্ষোভ, কষ্ট লুকায়িত ছিল সালামের। পরক্ষণে উঠে দাঁড়ালেন এই ভেবে, আগামি সংসদ নির্বাচনে আপাতত তার পথের কাঁটা নেই। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে গেল তিনবার জাতীয় পার্টির অন্যতন শীর্ষ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আওয়ামী লীগের সমর্থনে এমপি ও একবার পানিসম্পদ মন্ত্রী হন। আজীবন এই আসনে বীজ রোপণ করা এম এ সালাম দলের বৃহত্তম স্বার্থে বারে বারে এই আসনটি ছেড়ে দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। এর পুরস্কার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালামকে জেলা পরিষদের দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ ৯ বছরে এই দায়িত্বে থাকাকালে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় প্রচুর উন্নয়ন করেন সালাম। তবে সব ছাপিয়ে তার হাত ধরে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয় নিজ উপজেলা হাটহাজারীতে। সেই উন্নয়ন সামনে রেখে এবং জনবান্ধব, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে এম এ সালাম ও তার অনুসারীরা আশা করছেন আগামি জাতীয় নির্বাচনে হাটহাজারী আসনে তার বিকল্প কেউ নেই। ইতোমধ্যে মহাজোট থেকে বেরিয়ে গেছে জাতীয়পার্টি। কাজেই ব্যারিস্টার আনিস ইস্যু আর সামনে নেই।
সিডিএর সাবেক বোর্ড মেম্বার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইউনুস গণি চৌধুরী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপার সাথে হঠাৎ সংকট ও বোঝাপড়া ইস্যুতে আপাতত মনোনয়ন পেলেও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটা পিছিয়ে। জনসম্পৃক্ততা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, ক্লিন ইমেজ, সততা, তাগ– সবমিলিয়ে ভালো প্রার্থীর তালিকার শীর্ষে আছেন এম এ সালাম।
এর আগে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার অংশ নিয়ে অল্পভোটে হারেন সালাম। পরবর্তী ২০০১ এর নির্বাচনে নিজের তৈরি মাঠে জেতার মতো অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হলেও মনোনয়ন-বঞ্চিত হন সালাম। হঠাৎই মনোনয়ন পেয়ে যান আজীবন শহরে রাজনীতি করা এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেই যাত্রায় নৌকার টিকিট সালামের হাতে থাকলে আওয়ামী লীগের হিসাবে চট্টগ্রামের দুটি আসনের সাথে এই একটি আসনও যোগ হতে পারত। সেই যাই হোক সবমিলিয়ে এম এ সালামই এবার এই আসনে শক্ত ও যোগ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী। এসব বিবেচনায় দলীয় আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মিশন ও ভিশনারি রাজনীতিবিদ এম এ সালাম ৪ ডিসেম্বরের পলোগ্রাউন্ডের জনসভা সফল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া প্রত্যেক এমপি স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করে পলোগ্রাউন্ডে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও লোক পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে জেলার শীর্ষ নেতারা সমন্বয় করার কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জনসভার অন্তত ৩ দিন আগে চট্টগ্রাম চলে আসবেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে এ উপলক্ষে বৈঠক করার কথা রয়েছে দলের দুই প্রভাবশালী নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ড. হাছান মাহমুদের। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জনসভার আগে প্রস্তুতি দেখতে চট্টগ্রাম সফর করবেন বলেও জানা গেছে।