সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পাইলস চিকিৎসার নামে এসব কী হচ্ছে!

প্রকাশিতঃ ১৪ নভেম্বর ২০২২ | ৩:৪৩ পূর্বাহ্ন


জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত : অপারেশন কিংবা কাটাছেঁড়া ছাড়াই হবে পাইলস, পলিপাস, টনসিল এবং আঁচিলের স্থায়ী চিকিৎসা। দেওয়া হবে লিখিত গ্যারান্টি। এমনই চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোগীদের বোকা বানানোর হিড়িক পড়েছে চট্টগ্রামে। নিয়মসিদ্ধ চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মত নামসর্বস্ব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে নগরজুড়ে।

অভিযোগ আছে, ওষুধ প্রশাসন কিংবা বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন ইনজেকশন পুশ করে চলছে স্পর্শকাতর এসব রোগের অপচিকিৎসা। ‘মানিব্যাগ গ্যারান্টির’ নামে এ ধরনের অপচিকিৎসার নামে সেবাপ্রার্থীদের বোকা বানিয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। শুধু তাই নয়, চিকিৎসার ট্রেনিংয়ের নামে বোকা বানিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম পাইলস পলিপাস ও টনসিল চিকিৎসা এন্ড ট্রেনিং সেন্টার’। নগরের পাহাড়তলী থানাধীন ডি টি রোডস্থ অলংকার মোড়ের হানিমুন টাওয়ারে নিজেদের চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করে এ ধরনের অপচিকিৎসা প্রদান ও ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম পাইলস পলিপাস ও টনসিল চিকিৎসা এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের ফেসবুক পেইজের একাধিক পোস্টে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া রয়েছে। যেখানে লেখা আছে, “আমরা বিভিন্ন ক্যাটাগরীর চিকিৎসকদের ফ্রীতে ট্রেনিং দিয়ে থাকি এবং তাদের কাছে ঔষধ সরবরাহ করে থাকি। তাই আপনি চাইলে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের ইনজেকশন দ্বারা আপনার এলাকায় সাধারণ মানুষজন যারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই সমস্ত রোগে কষ্ট ভোগ করছেন তাদের চিকিৎসা দিয়ে নিজে স্মার্ট ইনকাম করতে পারেন। তাহলে আজই প্রশিক্ষণ নিন। আপনার সম্পূর্ণ সাপোর্ট কোম্পানি বহন করবে।”

পেইজটি ঘুরে দেখা যায়, ০১৭১৬৩১৫৯৯১ এবং ০১৭৫৩৭৭১৪৪২- এই দুটি নাম্বার উল্লেখ করা রয়েছে। চিকিৎসা ও ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে এসব নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে একাধিক পোস্টে। অপারেশন ছাড়াই এ ধরনের স্পর্শকাতর রোগের চিকিৎসা এবং চিকিৎসক না হয়েও মাত্র একদিনের ট্রেনিংয়ের এসব লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে পরিচয় গোপন রেখে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করেন এ প্রতিবেদক।

০১৭১৬৩১৫৯৯১ নাম্বারে ফোন করা হলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পরিচয় দিয়ে ফোন ধরেন নূর আলম শেখ নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, অপারেশন ছাড়াই পাইলস, পলিপাস, টনসিলের চিকিৎসা করা হয় তার প্রতিষ্ঠানে। এসব রোগের চিকিৎসায় ট্রেনিং দেওয়ার কথাটিও স্বীকার করেন তিনি। তার দাবি, এই ট্রেনিং নিয়ে যে কেউ-ই এসব রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন সহজে। তার কথা অনুযায়ী, তাদের কথিত ওই চিকিৎসা পদ্ধতি শেখার আগ্রহ থাকলেই একদিনে যে কেউই বনে যেতে পারবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

যদিও ট্রেনিংয়ের কোন সার্টিফিকেট দেন না তারা। তবে তাদের কাছেই পাওয়া যাবে চিকিৎসার ওষুধ থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র। তাদের এই ট্রেনিং দেয়া হয় বিনামূল্যে। এক্ষেত্রে কিনতে হবে নূন্যতম ১০ হাজার টাকার ওষুধ। নূর আলম শেখের দাবি, ১০ হাজার টাকার ওষুধ দিয়ে কয়েকশ’ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রোগীপ্রতি ১ থেকে ১০ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ নেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। কোনো চিকিৎসক ওষুধটি কিনতে চাইলে বিশেষ ছাড়ের সুবিধা রাখা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে চাইলে হাতে কলমেও নেওয়া যাবে চিকিৎসা অভিজ্ঞতা।

নূর আলম শেখের দাবি, তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করলে পাইলসের রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে ৭দিন, পলিপাসের রোগ থেকে সুস্থ হতে ৩ থেকে ৫ দিন এবং টনসিলের রোগীর সুস্থ হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ দিন। তাদের ব্যবহার্য ওষুধগুলো বাইরে থেকেই আমদানি করা হয় বলেও জানান তিনি। এসব ওষুধ ব্যবহারে ওষুধ প্রশাসন কিংবা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। বলেন, ‘আমাদের ওষুধ ইমপোর্ট করার লাইসেন্স আছে।’

কথোপকথনের এক পর্যায়ে প্রতিবেদক নিজের পেশাগত পরিচয় দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন নূর আলম শেখ। পরমুহূর্তেই নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বসেন তিনি। বলেন, ‘আমি মাই টিভিতে আছি। চট্টগ্রামের সব সাংবাদিক আমার ছোট ভাই। আমি বিবিসি টুয়েন্টিফোরের (ভূঁইফোড় অনলাইন) জেনারেল ম্যানেজার ছিলাম। যুগান্তর পত্রিকার মালিকের সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি গ্লোবাল হিউম্যান রাইটসের সেন্ট্রাল কোর্ডিনেটর। আমাকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোন লাভ নেই।’

এ ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমোদন আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন আছে কি নেই সেটা আপনাকে কেন বলবো? আপনি কে? আপনার যা বলার সামনাসামনি এসে বলেন। আপনি কোথায় থাকেন? আপনার ডিটেইলস দেন!’ প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে একপর্যায়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে ফোন কেটে দেন তিনি।

নগরজুড়ে ঠিক এভাবে এসব অপচিকিৎসা করে আসছে একাধিক প্রতারক চক্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের ফাঁদে ফেলতে তারা ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুককে। কিছু কিছু ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন কিংবা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই দেদারসে চালাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ২নং গেইটের কমার্স ভিউ ভবনে থাকা ‘কেরিভি’।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার ধরণ একটু ভিন্ন। ফেসবুকে ‘পাইলস সমাধান’ নামে একটি পেইজ আছে তাদের। পেইজটি খোলা হয়েছে গত ১৪ অক্টোবর। তাদের দাবি, ওই পেইজ থেকেই তাদের ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে কিংবা ০১৭৩২১০০৯৯৯ নাম্বারে যোগাযোগ করলেই তারা বুঝে যান রোগীর সমস্যা। সরাসরি রোগী না দেখেই নির্দিষ্ট ওষুধ দেন রোগীদের। আর এই ওষুধ তারা পাঠান কুরিয়ার করে।

জানা যায়, উক্ত নাম্বারে ফোন করলে রোগীর সমস্যা শুনে ওষুধ দিয়ে থাকেন। ওষুধের অর্ডার করার ক্ষেত্রেও আছে ফাঁদ। তাদের নিয়মে রোগীরা ওষুধের অর্ডার করলেই আগে ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করতে হয়। তারপরই গ্রাহকরা পাবেন ওষুধ। ওষুধের বিশ্বাসযোগ্যতা দেখাতে তারা ‘মানিব্যাক গ্যারান্টির’ অফারও দিচ্ছেন।

রোগী পরিচয়ে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সুজয় দাশ নামে একটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির স্পেশালিস্ট ডক্টর পরিচয় দিয়ে ফোন ধরেন। এসময় ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে জানতে চাইলে নিজেদের নানা গুণগান গাইতে থাকেন তিনি। সুজয় জানান, তাদের ওষুধটি ভিন্ন। কোনো ইনজেকশন কিংবা ক্রিম নয়, তাদের ওষুধের ফলাফল পাওয়া যাবে সেবনের মাধ্যমে। যার মূল্য দেড় হাজার টাকা।

ফেসবুক পেইজে লোভনীয় মানিব্যাক গ্যারান্টির এবং আরোগ্যের শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে পোস্ট করা হলেও কথোপকথনে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অফার তারা দিচ্ছেন না। আর ওষুধের ফলাফল নির্ভর করছে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর। এক্ষেত্রে ফলাফল পাওয়ার নিশ্চয়তাও দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এ রোগের চিকিৎসায় ক্রিম কিংবা ইনজেকশনকে অকার্যকর উল্লেখ করে নিজের ওষুধকেই সেরা দাবি করেন তিনি। তবে ওষুধে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকার কথাটিও স্বীকার করেন তিনি।

ঠিক একইভাবে রোগীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে একাধিক চক্র। অনলাইন বাজার নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকেও পাইলসের ওষুধের নামে প্রতারণার অভিযোগ আছে। সেই পেইজে দেওয়া একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, তাদের ওষুধ ব্যবহার করলে পাওয়া যাবে পাইলস সমস্যার ১০০ শতাংশ সমাধান।

আর তাদের ওষুধটি হলো ‘ডিকটেমনি’ নামের একটি চাইনিজ ক্রিম। তাদের দাবি, ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে ৪৫ দিনের কোর্সে। এক্ষেত্রে মোট তিনটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ব্যাস, এতেই মলদ্বারের যে কোন রোগ সেরে যাবে বিনা অপারেশনে। আবার কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে ক্রিমটি ব্যবহারে পাইলস থেকে মুক্তি মিলবে মাত্র ৭ দিনে। আর ওষুধটি পেতে হলে তাদের ইনবক্সে রোগীর ঠিকানা ও নাম্বার দিয়ে কিংবা ০১৩২৫৪০৩২৯৩ নাম্বারে যোগাযোগ করলেই পাওয়া যাবে জাদুকরী ওষুধটি।

মজার বিষয়টি হলো কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকা এই ওষুধটি পাওয়া যায় ই-কমার্স সাইট দারাজেও। অন্যান্য ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পেইজে ৩টি ৫৮০ টাকায় বিক্রি করা হলেও দারাজে ওষুধটি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৮৯ টাকায়। বিভিন্ন অনলাইনে বিভ্রান্তিকর এসব অনুমোদনহীন ওষুধ দারাজে বিক্রির জন্য পাওয়া যাওয়ায় প্রশ্ন ওঠেছে এসবের কার্যকারিতা নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, দারাজের মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কীভাবে এসব অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করছে?

যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. শাহাদাত হোসেনের মতে, ‘মলদ্বারে কোনো সমস্যা মানেই যে পাইলস তা কিন্তু নয়। পাইলস হয়েছে কী হয়নি এটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শুধুমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই বলতে পারবেন। যেমন প্রক্টোস্কোপ, কলোন্সকপিসহ বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে টেস্টের পরই জানা যায় রোগটি পাইলস কিনা। আর পাইলস হলে সেটি কোন স্টেজে আছে সেটি নিশ্চিত না হয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।’

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বিদায়ী সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া এ ধরনের স্পর্শকাতর রোগের চিকিৎসার অনুমোদন কারও নেই। আমার জানা মতে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের অনুমোদন নেই। এক্ষেত্রে অপচিকিৎসার কারণে রোগীর মলদ্বারে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারণ মলদ্বারের সব রোগ তো পাইলস না। এখানে ৩-৪ ধরনের রোগ আছে। কিন্তু তারা সব রোগেরই একই চিকিৎসা করে।’

‘কারো যদি কোলন ক্যান্সার থেকে থাকে আর তাকে যদি পাইলসের চিকিৎসা করা হয় তাহলে তো হবে না। এসব রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও শরণাপন্ন হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বিনা অপারেশন, বিনা ব্যথা এসব শব্দ ব্যবহার করে এবং ডিসকাউন্ট প্যাকেজের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের দেশের মানুষ হয়রানির শিকার হয়, চিকিৎসার নামে হয় অপচিকিৎসা। তাদের সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ও যাবতীয় অনুমোদন আছে কিনা সেটা দেখা দরকার।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিচালনা না হওয়ায় দিন দিন গ্রাহক প্রতারণা বাড়ছে। বিগত সময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আড়ালে থেকে গেছে এসব নামসর্বস্ব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে বাড়ছে রোগীর সমস্যাও।

অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কি চিন্তা করছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আপনারা আমাকে তথ্য দিন, আমি আশ্বস্ত করছি যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো ডাক্তার রোগীকে ওষুধ প্রেসক্রাইব কিংবা চিকিৎসা করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ডাক্তার কোনো ধরনের ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না। তারপরও কিন্তু কিছু চক্র চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে৷ যারা এসব চিকিৎসা করছে তাদের অনুমোদন না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির পরিচালক এম ডি কাইয়ুম বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রি কিংবা উৎপাদন করা যাবে না। ওষুধটি যদি খুব ভালোও হয় তারপরও সেটা বাজারে বিক্রির যোগ্য নয়। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারে অনুমোদনহীন কিছু ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো ফিল্ড অফিসাররা জব্দ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’ এসময় ওষুধ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।