চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়েছে হকাররা। এতে তিন পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কমপক্ষে ৯ জনকে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যানজট নিরসনের জন্য হকারদেরকে রাস্তামুখী দোকান না বসানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা অমান্য করে হকাররা রাস্তামুখী দোকান খুলে বসে। শুক্রবার বিকেলে রাস্তামুখী দোকান সরিয়ে দিতে পুলিশ অভিযানে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় জুবলী রোডের জলসা সিনেমা মার্কেট এলাকায় ভবনের ওপর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এরপর পুলিশ লাটিচার্জ করে। শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মিলন হোসেন বলেন, ২৫ বছর ধরে আমাদের হকাররা ব্যবসা করছেন। নালা ও ফুটপাতের যে অংশে ব্যবসা করার জন্য পুলিশ কমিশনার বলেছেন, সেখানে আমরা ব্যবসা করছি। কিন্তু পুলিশ কমিশনার বলেছেন, রমজানে ফুটপাতে রাস্তামুখী কোন দোকান হবে না। অবশ্য ব্যবসার স্বার্থে আমরা রাস্তামুখী হয়েই ব্যবসা করছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়ে আমরা বলেছিলাম, হকাররা অনেক টাকার মালামাল কিনে ফেলেছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঈদ পর্যন্ত আমদেরকে রাস্তামুখী দোকান করার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এসে হকারদের তুলে দেয়।
হকার নেতা মিলন হোসেন দাবি করেন, পুলিশের হামলায় ২০-২৫ জন হকার আহত হয়েছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১৪ থেকে ১৫ জন হকারকে পুলিশ আটক করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় হকারদের ৯ জনকে আমরা আটক করেছি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, রাস্তায় হকারকে বসতে দেয়া হবে না। আর এ ঈদ মাকের্টে তো প্রশ্নই আসে না। এতোদিন রাস্তায় হকার বসতে পারেনি। আজ কিছু হকার বসতে গেলে পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়ে।