চট্টগ্রামে পাহাড়ি ঢল-ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পাহাড়ি ঢল ও ধসে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ধসে রাঙ্গুনিয়ায় ২৫ জন, চন্দনাইশে চারজন, রাউজানে দুইজন, ফটিকছড়িতে একজন, পাহাড়তলীতে একজন ও বাঁশখালীতে একজন মারা গেছেন। রাঙ্গুনিয়ায় এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আহতদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা করে। রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলায় দুর্গতদের জন্য ১০ টন করে ২০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলার জন্য পাঁচ টন চাল দেয়া হয়েছে। লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার জন্য দেয়া হয়েছে তিন টন করে মোট ছয় টন চাল।

জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ায় নিহতদের মধ্যে ১৯জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রাজানগরের নজরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫), ছেলে নানাইয়া (১৫), মেয়ে সাফিয়া আক্তার (৯) এবং একই এলাকার মো. ইসমাইল (৩৭), তার স্ত্রী মনিরা আক্তার (২৬), দুই মেয়ে ইভা (৮) ও ইছা (৪)। একই উপজেলার ইসলামপুরের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সুজন (৪২), তার স্ত্রী মুন্নি (৩১), মেয়ে জোসনা (১৮), শাহানু (১৬) ও ফালুমা (১৪) নিহত হয়েছেন। একই এলাকার মফিজুর রহমানের মেয়ে মুনমুন আক্তার, হেজু মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম, বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ, মো. হানিফের ছেলে মো. হোসেন, সিদ্দিকের স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মফিজের ছেলে হিরু মিয়া নিহত হন।

অন্যদিকে চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে তিন শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন আজগরের মেয়ে মাহি আক্তার (৩), চি চাও খিয়াংয়ের স্ত্রী মোখাও খিয়াং (৫০), খাই লাও খিয়াংয়ের মেয়ে মি মাও খিয়াং (১৩), চি লাও খিয়াংয়ের মেয়ে খেও চাপ খিয়াং (১০)। অন্যদিকে রাউজানে নদীর পানিতে ভেসে গিয়ে নিহত হয়েছেন নোয়া মিয়া (১৬); রাউজানে ও ফটিকছড়িতে নিহত অন্য দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি। দেয়াল ধসে নগরীর হালিশহরে নিহত হন মোহাম্মদ হানিফ।