চট্টগ্রাম: রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে এবং গাছের চাপায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১২ জুন) রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। উদ্ধার কাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণকক্ষের অপারেটর মো. জিল্লুর রহমান মঙ্গলবার ভোরে চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি কানগুনিয়া এলাকায় পাহাড় ধসে চারজন ও হালিশহর উপজেলার ফইল্লাতলী বাজার এলাকায় দেয়াল ধসে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
পাহাড় ধসে নিহতরা হলেন-ওই এলাকার আজগরের মেয়ে মাহি আক্তার (৩), চি চাও খিয়াংয়ের স্ত্রী মোখাও খিয়াং (৫০), খাই লাও খিয়াংয়ের মেয়ে মি মাও খিয়াং (১৩), চি লাও খিয়াংয়ের মেয়ে খেও চাপ খিয়াং (১০)। আহতরা হলেন চেইন খিয়াং ও ছিলাও খিয়াং। এছাড়া ঝড়ে ফইল্লাতলী বাজার এলাকার একটি বাড়ির দেয়াল ধসে মোহাম্মদ হানিফ (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক উল্লাহ জানান, মঙ্গলবার ভোরে বান্দরবান শহরের লেমু ঝিড়ি পাড়া, কালাঘাটা ও ক্যচিংঘাটা এলাকায় পাহাড় ধসে তিন ভাইবোনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। কালাঘাটার কবরস্থান এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েন রেবা ত্রিপুরা (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, প্রসেন ত্রিপুরা ও সূর্য চাকমা নামে তিনজন।
এছাড়া লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত হয়েছে শুভ বড়ুয়া (৮), মিঠু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৫) নামে তিন ভাইবোন। এসময় গুরুতর অাহত হয়েছেন তাদের বাবা লাল মোহন বড়ুয়া। নিহত অন্য দুইজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের আরএমও মং ক্যাচিং সাগর জানান, পাহাড় ধসে এবং গাছচাপায় রাঙ্গামাটিতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি শহরে ১০ জনের এবং রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে-রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদি এলাকার নুড়িয়া আক্তার, আইয়ুস মল্লিক, রুমা আক্তার, অমিত চাকমা, হাজেরা বেগম, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস, সোনালী চাকমা, কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়ার নিকি মারমা ও অনুচিং মারমার নাম জানা গেছে।