আবছার রাফি : বর্ষা মানেই পাহাড়ধস। পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। প্রাণহানির সংখ্যা বেশি হলে নিয়মমাফিক তদন্ত কমিটি হয়। এসব কমিটি নানা সুপারিশও করে। এর সবই জানা কথা। বাস্তবতা হচ্ছে সেসব সুপারিশের বেশির ভাগই কাগজে থাকে, বাস্তবায়ন হয় না। পাহাড় রক্ষায় ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে পাহাড় ধসের ২৮টি কারণ চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে ৩৬টি সুপারিশ করেছিল। সুপারিশগুলোর মধ্যে দু-একটি নামেমাত্র বাস্তবায়ন হলেও বেশিরভাগই রয়ে গেছে কাগজে-কলমে।
কমিটি পাহাড় ধসের যে ২৮টি কারণ উল্লেখ করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-ভারি বর্ষণ, পাহাড়ে বালির আধিক্য, পাহাড়ের উপরিভাগে গাছ না থাকা, গাছ কেটে ভারসাম্য নষ্ট করা, পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস গড়ে তোলা, পাহাড় থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখা, বনায়নের পদক্ষেপের অভাব, বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি ও মাটি অপসারণে দুর্বলতা।
এই কমিটির সুপারিশগুলোর মধ্যে ছিল-পাহাড়ের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে হাউজিং প্রকল্প না করা, জরুরি বনায়ন, গাইডওয়াল নির্মাণ, নিষ্কাশন ড্রেন ও মজবুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা, পাহাড়ের পানি ও বালি অপসারণের ব্যবস্থা করা, যত্রতত্র পাহাড়ি বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ করা, পাহাড়ি এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নিষিদ্ধ করা, মতিঝর্ণা ও বাটালি হিলের পাদদেশে অবৈধ বস্তি উচ্ছেদ করে পর্যটন স্পট করা, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসতি স্থাপন নিষিদ্ধ করা, পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, মহানগরীকে পাহাড়ি এলাকা হাটহাজারীর দিকে সম্প্রসারণ না করে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে পটিয়া ও আনোয়ারার দিকে সম্প্রসারণ।
কিন্তু এসব সুপারিশ যেমন বাস্তবায়ন হয়নি, তেমনি পাহাড় কাটাও বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়নি পাহাড় দখল বা এর পাদদেশে বসবাস। একদিকে উজাড় হচ্ছে পাহাড়, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে জীবনের ক্ষয়-অথচ ধস রোধ ও দখলদার উচ্ছেদে স্থায়ী ও টেকসই ব্যবস্থা বা পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি কখনো। উদ্যোগ নেওয়া হয় না বাধাগুলো দূর করার। সাময়িক উদ্যোগে এর সমাধান দেখেন না পরিবেশবিদরা।
গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর এবং আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসে ২৪৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এত প্রাণহানির পরও বন্ধ হচ্ছে না চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন ও বসবাস। বরং প্রতি বছরই বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যা। এখনও পাহাড়ের ঢালে অথবা পাদদেশে বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে হাজার হাজার বসতি রয়েছে। যেখানে অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষের বসবাস।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পাহাড় দখলকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় না আনায় দখল ও বসতি বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাহাড়ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জুন। ওই বছর ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের সেনানিবাস এলাকা, লেডিস ক্লাব, শহরীর কুসুমবাগ, কাছিয়াঘোনা, ওয়ার্কশপঘোনা, মতিঝরনা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ প্রায় সাত এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। ওই দিন ভোরবেলা অল্প সময়ের ব্যবধানে এসব পাহাড়ধসে নারী-শিশুসহ ১২৭ জনের মৃত্যু হয়।
পাহাড়ধসে একসঙ্গে এত প্রাণহানির পরও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা, দখল ও বসতি স্থাপনা। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাহাড়ধস এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আরও ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সবমিলে গত ১৫ বছরে নগরে ও আশপাশে পাহাড়ধসে ২৪৭ জন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ পাহাড়ধসে মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে আরও চার জন। শুক্রবার (১৭ জুন) রাত ২টায় এবং শনিবার (১৮ জুন) ভোর ৪টায় নগরীর আকবর শাহ থানাধীন ১ নম্বর ঝিল ও ফয়েজ লেক সিটি আবাসিক এলাকায় এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আকবরশাহ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করছে। প্রতিবছরই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়, এরপর আবার এখানে এসে বসতি স্থাপন শুরু করে তারা। আমরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসীমকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার আশপাশে পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো চিহ্নিত করেছি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলো থেকে বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার সার্ভিস বন্ধ করে দেব। যেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আছে এমন ১২০টি ঘর উচ্ছেদ করব।
তিনি বলেন, এবার আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অনুরোধ করে বলেছি, উচ্ছেদের পর যেন এই জায়গায় কেউ আবার বসতি স্থাপন করতে না পারে। সেই ব্যবস্থাটি আপনারা নিশ্চিত করবেন। কেউ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আর বসতি গড়তে না পারে। জেলা প্রশাসক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবস্থানকারীদের মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করবে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীরা। যাদের উচ্ছেদ করা হবে তাদের পুনর্বাসন করা হবে না। কারণ যারা এখানে থাকেন প্রত্যেকেই ভাড়াটিয়া।
গত ২০ বছরে দেশে পাঁচ শতাধিক মানুষ পাহাড়ধসে মারা গেছে। ‘ডিজাস্টার রিস্ক গভর্ন্যান্স ফর ডিস্ট্রিক্ট-লেভেল ল্যান্ডস্লাইড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাটি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইদ্রিস আলম। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন সাময়িকীতে চলতি বছর এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গত দুই দশকের মধ্যে ২০০৭ সালের জুনে চট্টগ্রামে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। আর ২০১৭ সালের জুনে পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড়ধসে ১৬৮ জন নিহত হন। এর মধ্যে ১৩ জুন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নিহত হন ১২০ জন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে পাহাড়ধসে এত প্রাণহানি আগে কখনো হয়নি।
রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের পর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে রঙামাটির পাহাড়ধসের পর গঠিত কমিটি কক্সবজার ও চট্টগ্রামের পাহাড়ধস এবং মৃতুরোধেও সুপারিশ করে। এসব সুপারিশের মধ্যে একটি ছিল তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের তালিকা তৈরি করা। এই কাজও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। পাহাড়গুলোর ধারণক্ষমতা ও আবাসসক্ষমতা বিবেচনা করে শ্রেণিবিন্যাস করার সুপারিশও করা হয়েছিল। ভারী বর্ষণের আগে যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা দেওয়া যায়, সে জন্য একটি অ্যাপ তৈরির পরামর্শ ছিল। এসবের কিছু হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের লালখানবাজার মতিঝরনা এলাকায় পাহাড়ধসে চার পরিবারের ১২ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকার বাটালি হিল পাহাড় ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালের ২৬-২৭ জুন পাহাড়ধসে চট্টগ্রামে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৩ সালে মতিঝরনায় দেয়ালধসে দুই জন মারা যান। ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই বায়েজিদ এলাকার আমিন কলোনিতে পাহাড়ধসে মারা যান তিন জন, একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ থানার মাঝিরঘোনা এলাকায় মারা যান মা-মেয়ে। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর নগরীর আকবরশাহ থানাধীন ফিরোজশাহ কলোনিতে পাহাড়ধসে মারা যান চার জন। ২০১৯ সালে কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা পাহাড়ধসে এক শিশু প্রাণ হারায়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে। এর মধ্যে ১৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫ পরিবার বসবাস করে। ১৭ পাহাড়ের মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০ পাহাড়ে অবৈধভাবে বাস করছে ৫৩১ পরিবার। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাত পাহাড়ে বাস করছে ৩০৪ পরিবার।
ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো হলো- রেলওয়ের লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, পূর্ব ফিরোজ শাহ এক নম্বর ঝিল সংলগ্ন পাহাড়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিনাকানাধীন কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনি পাহাড়, পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন সিটি করপোরেশন পাহাড়, রেলওয়ে, সওজ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল পাহাড়, ব্যক্তিমালিকানাধীন একে খান পাহাড়, হারুন খানের পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়, মধুশাহ পাহাড়, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়, মিয়ার পাহাড়, আকবরশাহ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, আমিন কলোনি সংলগ্ন ট্যাংকির পাহাড়, লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, ফয়’স লেক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড় এবং এমআর সিদ্দিকী পাহাড়।
তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবে অবৈধ দখল ও বসবাসকারীদের সংখ্যার মিল নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। পাহাড় দখল করে এখানে হাজারো বসতি গড়ে উঠেছে। যেগুলোতে বিপজ্জনকভাবে বসবাস করছে দরিদ্র পরিবারগুলো। তাদের উচ্ছেদে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। কারণ উচ্ছেদ-উদ্যোগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনি জটিলতা। উচ্ছেদ করতে গেলেই স্বার্থান্বেষী মহল উচ্চ আদালতে রিট ঠুকে দেয়। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড়ের পাদদেশে ঘর তৈরি করে নিু আয়ের মানুষদের কাছে ভাড়া দেয়। বিপদ হতে পারে জেনেও তুলনামূলক কম টাকায় থাকা যায় বলে নিম্ন আয়ের লোকজন সেসব ঘর ভাড়া নেয়। এ প্রভাবশালীরাই মূলত রিট করে। এ কারণে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বছরের পর বছর ঝুলে থাকে।
চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে গেলে একটির পর একটি রিট হয়। এ রকম অসংখ্য রিট রয়েছে। শুধু মতিঝর্ণা পাহাড়েই আছে সাতটি রিট। জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় আছে একটি। আরও রিট আছে। এসব রিট না থাকলে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সহজ হতো।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছিল। এখন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে। জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করছেন।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ অভিযান বছরজুড়েই চলে। এরপরও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তারা। এবার আমরা কঠোর হবো। এসব বসতির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবো।’