চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে স্থানীয় এমপির মারধরের অভিযোগের পর তার অপসারণ চেয়ে উপজেলা সদরে মিছিল হয়েছে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারি ও বাহারছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে সদরের মূল সড়কে মিছিল হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয় সাংসদের অনুসারীরা। এসময় তারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে। আগে থেকে ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশের বাঁধা অমান্য করে মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে শ’দুয়েক মিছিলকারী। পরে পুলিশ তাদের মূল ফটকের বাইরে বের করে দেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাংসদ মোস্তাফিজুরের এপিএস তাজুল ইসলাম ও সরল ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাংসদ মোস্তাফিজুরের চাচা রশিদ আহমদ।
বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করে মিছিল হয়েছে। তবে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন আছে।
এ বিষয়ে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মিছিল করেছেন। আমি কাউকে মিছিল-সমাবেশ করতে বলিনি।
সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভুঁইয়া বলেন, বুধবার নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মামলা করার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেউ বাঁশখালী থানায় যাননি। বাদি এজাহার দিলেই মামলা রেকর্ড করা হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
প্রসঙ্গত গত বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।
নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি, ৪ জুন অনুষ্টিতব্য ইউপি নির্বাচনে ‘ফর্দ অনুযায়ী’ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ‘নিয়োগ না দেওয়ায়’ তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর বুধবার বিকালেই বাঁশখালীর ১১ ইউনিয়নে ভোট স্থগিত ও সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।