চট্টগ্রাম: দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর এলজিইডি মিলনায়তনে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিআরটিএ মেট্রো ও জেলা সার্কেল যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মশিয়ার রহমান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। ২০২০ সালের মধ্যে তা আরও কমাতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালাবেন না।
তিনি বলেন, ১৭ হাজার মোটরসাইকেলসহ সারাদেশে ২৯ লাখ গাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ২২ লাখ গাড়ির লাইন্সেস রয়েছে। সকল গাড়ি ও চালককে বিআরটিএ এর অধীনে লাইন্সেস ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যেসব গাড়ি চালকদের অক্ষরজ্ঞান নেই তাদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নিয়ে লাইন্সেস দেওয়া হবে।
লাইন্সেস ও রেজিস্ট্রেশন পেতে বিআরটিএ অফিসে এসে কেউ যাতে হয়রানি ও ভোগান্তিতে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে যত বেশি সচল রাখা যাবে, দেশের অর্থনীতি তত উন্নত হবে। যে কোনভাবে বন্দরকে সচল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বন্দরের পণ্য ওঠা-নামায় যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান রয়েছে, সেই পরিবহনগুলোর জন্য কোন টার্মিনাল নেই।
পুলিশ কমিশনার বলেন, গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে আইন মেনে করা উচিত। তা না হলে সামনে চার দেশীয় গাড়ি চলাচল শুরু হলে পরিবহনে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে সচেতনতার মাধ্যমে চালকদের গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সজল চন্দ্র বণিক, নিরাপদ সড়ক চাই, চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব। কবি ও সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) রায়হানা আকতার, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও জেলা পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ।