সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের সময় কমানোর দাবি

প্রকাশিতঃ ৭ জুন ২০১৭ | ৪:৩৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের সময় কমানোসহ ছয়টি দাবি জানিয়েছেন জেলেরা। এসব দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য জেলা প্রশাসককে দিয়েছেন তারা। বুধবার সকালে ‘উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সংগঠনের সভাপতি লিটন দাস ও সাধারণ সম্পাদক হরি দাসের স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের এক নম্বর সৈয়দপুর হতে দক্ষিণে পতেঙ্গা পর্যন্ত ছয় থানার প্রায় ৭৫ হাজার (সবমিলিয়ে তিন লাখ ৭৫ হাজার মানুষ) আদি জেলে পরিবারের বাস। আমরা দেশের মৎস্যখাতে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আমরা বংশপরম্পরায় ফাঁড়-কুঁটি গেড়ে টং জাল, বিহুন্দিজাল বসিয়ে মাছ শিকার করে জীবন চালাই, সেই ফাঁড়-কুঁটি গেড়ে টং জাল, বিহুন্দিজাল নিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড। এসময় আমাদের ওপর মারধরের ঘটনাও ঘটছে। যা বংশানুক্রমে জলদাস গোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার শামিল। এ অবস্থায় তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করার জন্যই সাত দফা দাবি বলে জানাচ্ছি।

দাবিগুলো হলো- খুঁটি জাল বসানোর বিরুদ্ধে যে আইন তা পরিবর্তন ও সংশোধন করা, টং জাল (ইলিশ জাল), বিহুন্দিজাল নিষিদ্ধের যে আইন তা পরিবর্তন ও সংশোধন করা, ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের সময় কমানো, উপকূলীয় জলদাস জনগোষ্ঠীর মাছ ধরা নিয়ে কোনো আইন প্রণয়ন করার আগে উপকূলীয় জলদাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করা, জলদস্যুদের হাত থেকে নিরীহ জেলেদের রক্ষায় সার্বক্ষণিক কোস্টগার্ডের ব্যবস্থা করা, সরকারিভাবে নিবন্ধন হওয়া জেলেদের জীবনবীমার ব্যবস্থা করা এবং প্রত্যেক গ্রামের নির্দিষ্ট নৌকা/বোট রাখার স্থানের ব্যবস্থা করা।

এর আগে নারী-পুরুষসহ কয়েকশ জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ লালদীঘি মাঠে সমবেত হন। এরপর সেখান থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।