রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সঙ্কট-সংগ্রামে রবীন্দ্র-নজরুলের অসম্প্রদায়িক সৃষ্টিকর্মেও মাঝেই বাঙালির আশ্রয়

প্রকাশিতঃ ৬ জুন ২০১৭ | ৯:৫৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : পটিয়ার দক্ষিণভূর্ষি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সম্প্রতি পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, বাঙালি আজও রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে স্মরণ করে শ্রদ্ধাভরে। কারণ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবচেয়ে দেদীপ্যমান ও উজ্জ্বল ২টি নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল। গান, কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস প্রবন্ধসহ সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে ছিল এ দুই কবির অবাধ বিচরণ। ছিল প্রচন্ড দাপট। তাই সঙ্কটে, সংগ্রামে উৎসবে তথা সর্ব সময়ে বাঙালি তাঁদের সৃষ্টি কর্মের ভেতরে খোঁজে আশ্রয়। কারণ রবীন্দ্র ও নজরুল ছাড়া বাঙালির অস্থিত্বই শূন্য। বাঙালির চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতায় বোধতো বটেই, এমনকি সুরুচি ও ঔচিত্যবোধ সঞ্চার ও মানকিববোধে বাঙালিকে উচ্চকিত করতেও রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের অবদান স্মরণীয়।

সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রাসেল সংগীতাঙ্গনের সাবেক সভাপতি ভূবন কুমার দে। বক্তব্য রাখেন পাঠাগারের উপদেষ্টা নিহার চক্রবর্ত্তী, রাসেল বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সম্পাদক কানু দে, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দে বাবু, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রনধীর চক্রবর্ত্তী, সহ-সভাপতি রতন কুমার দে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মিহির চক্রবর্ত্তী, সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, পাঠাগারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল উদ্দিন, সুপ্রকাশ চক্রবর্ত্তী অপু, অনুপ কুমার মিত্র, বিধান কুমার দে, সাহিত্য সম্পাদক অর্পন চক্রবর্ত্তী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লবী চক্রবর্ত্তী, রিগ্যান, রাজীব ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী, অনিক দে যীসু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে রাসেল সঙ্গীতাঙ্গনের অধ্যক্ষ পুলক ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় গীতি আলেখ্য ও সংগীতানুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করেন রাসেল সঙ্গীতাঙ্গনের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।