চট্টগ্রাম: আদালতের আদেশ অমান্যের দায়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। মঙ্গলবার পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় সাইফুল আলম নামের এক ব্যক্তি সিআর ৩৬৩/১৬ একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ডাক্তারী সনদ তলব করে আদালত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নোটিশ দেন। ডাক্তারী সনদ প্রেরন না করলে আদালত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দুই দফা তাগাদা দেন। তারপরও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তারী সনদ প্রেরণ না করায় গত ১৪ মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে স্ব:শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে সনদপত্র প্রেরণ না করার কফিয়ত চেয়ে নোটিশ দেন। তাতেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আদালতের আদেশ পালন না করলে ম্যাজিষ্ট্রেট নিজে বাদী হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৫ ধারায় মিছ ২/১৭ একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গত ২৯ মে উক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আদালত ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, আদালত যে নোটিশ প্রদান করেছে তা আসলেই আমি অবগত ছিলাম না। আমার অফিসের এক কর্মকর্তার ভুলের কারনে সেটি হয়েছে। তাকে আমি শো-কজ করেছি। কারাদণ্ড এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানার বিষয়য়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।