চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোরার সময় বঙ্গোপসাগরে থাকা একটি ট্রলারের ১৬ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের সবাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শেখেরখীল, গন্ডামারা ও ছনুয়া এলাকার বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ কারও সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই ট্রলারের মালিক জাকের হোসেন।
নিখোঁজ মাছ ধরার ট্রলারের মালিক জাকের হোসেন বলেন, গত ২৮ মে ফারুক মাঝির নেতৃত্বে আমার ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। ২৯ মে সকালে ফোনে তাদের সাথে শেষ কথা হয়েছিল। এরপর থেকে জেলেসহ আমার ট্রলারটি কোথায় আছে এখনো জানি না।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নিখোঁজ বোটটি খুঁজতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু সাগরে বাতাসের তীব্রতা বেশী থাকায় ফিরে আসতে হয়েছে। ৩৯ লাখ টাকা খরচ করে ট্রলারটি ও মাছ ধরার জাল কিনেছিলাম। এখনো ১৭ লাখ টাকা দেনা আছে। আমি এখন কি করব আমি নিজেও জানি না।
বাঁশখালীর শেখেরখীলের মৌলভীবাজার এলাকার নিখোঁজ জেলে সাহাব উদ্দীনের চাচাত ভাই নুরুল কাদের বলেন, গন্ডামারা এলাকার জাকের হোসেনের ট্রলারে ১৬ জন সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। এদের মধ্যে আমার চাচাতো ভাই সাহাব উদ্দীনও ছিল। কিন্তু এখনো তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, নিখোঁজ হওয়া শেখেরখীলের একটি ট্রলারের ২১জন ফিরেছেন। তবে গন্ডামারা থেকে যাওয়া আরেকটি বোট এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি এয়ার আলী বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সে মতে নৌবাহিনী সাগরে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অর্ধশত জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।