সব ‘সুন্দর’র মাঝেই আছেন তিনি

চট্টগ্রাম : রাজনীতির পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি, সম্মাননা ও নেতৃত্বও এখন তাঁর হাতে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজসেবায়, শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে আছেন শহর-বন্দর ছাড়িয়ে গ্রামের মেঠোপথে। একজন মানুষের এতগুলো বিশেষণ, নেতৃত্বযোগ্যতা ও কর্মস্পৃহায় বিস্মিত হন অনেকেই-কী করে এতসব সামাল দেন তিনি! কেউ কেউ ঈর্ষা করে বলেন, ‘সব সুন্দরে, মঙ্গলের মাঝেই এম এ মোতালেব।

হ্যাঁ এম এ মোতালেব পারেন, পারবেন। আর সেটা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন একের পর এক। জীবন শুরুর প্রথম দিকে ছিলেন শিক্ষাগুরু, নিবেদিতপ্রাণ আদর্শ শিক্ষক। সফল ও প্রিয় শিক্ষকের ‘তকমা’ ছেড়ে একসময় যুক্ত হন মিষ্টির ব্যবসায়, যার নাম ‘বনফুল’।

কালের প্রয়োজনে মহীরূহ হয়ে উঠা সেই বনফুল এবং পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান ‘কিষোয়ান’-এর খাদ্যসামগ্রী দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও জায়গা করে নিয়েছে।

বলাবাহুল্য, এম এ মোতালেব পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে বিশ্বের ৩২টি দেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের বিদেশি বাজার সৃষ্টি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অবদান রাখছে। সেই কারণে টানা তৃতীয়বারের মতো সিআইপি নির্বাচিত হলেন দেশের খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠান বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের কাছ থেকে সিআইপি কার্ড গ্রহণ করেন তিনি।

কেবল তাই নয়, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ মেয়াদের জন্য ২৪ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ‘অ্যাসোসিয়েট গ্রুপ’ থেকে ফুড সেক্টরে বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম চেম্বার-এর পরিচালক নির্বাচিত হন। ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ মেয়াদেও ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক।

বলা যায়, এসবের মধ্যদিয়ে বাণিজ্যের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি, নেতৃত্ব ও সম্মাননা চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এই কৃতী সন্তানের ললাটে।

ব্যবসায়িক ব্যস্ততা, বিরামহীন পরিশ্রমের মাঝেও ‘মিনি পাকিস্তান’ খ্যাত সাতকানিয়ায় আওয়ামী রাজনীতির নেতৃত্বও গ্রহণ করতে হয়েছে তাকে। প্রায় তিনবছর আগে মৌলবাবাদী জামায়াত-শিবির চক্রের অপশক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একজন উদার, সর্বজনীন, নেতৃত্বযোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির বড় বেশি প্রয়োজন দেখা দেয়। আর তখনই আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড বেছে নেন এম এ মোতালেবকে।

আওয়ামী পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এম এ মোতালেবের হাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত তৈরি করতে গত তিনবছরে অহর্নিশ কাজ করেছেন তিনি। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সাতকানিয়া আওয়ামী লীগ আজ অনেক বেশি শক্তিশালী, কর্মীবান্ধব, সাংগঠনিক। এর স্বীকৃতিস্বরূপ পরবর্তীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয় এম এ মোতালেবকে।

এসবের মাঝেই শিক্ষাবিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন এম এ মোতালেব। স্থানীয় চিব্বাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার কঠোর নজরদারিতে বিভিন্ন পরীক্ষায় ঈর্ষন্বীয় সাফল্য অর্জন করছেন এই দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তার গড়া চিব্বাড়ী এম এ মোতালেব কলেজ সাতকানিয়ার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। সাতকানিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ছমদর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, করইয়ানগর উচ্চ বিদ্যালয়, পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়কে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার দিকে এগিয়ে নিতে রাখছেন নানা ভূমিকা। স্কুলগুলোর অন্যতম দাতাসদস্য তিনি।

সমাজসেবা ও সংগঠনেও পিছিয়ে নেই এম এ মোতালেব। চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা, তামাকুমন্ডি বণিক সমিতি উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মিষ্টি শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা, ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন সদস্য, লায়ন্স ক্লাব চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রামস্থ সাতকানিয়া সমিতির উপদেষ্টা, ভাটিয়ারি গলফ ক্লাবের সদস্যসহ অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়ে দিনবদলে ভূমিকা রাখছেন এম এ মোতালেব।

এম এ মোতালেব বলেন, ‘বদলে যাই, বদলে দিই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজনীতি, ব্যবসা, সমাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে আমি কাজ করছি। পরিবর্তন আর বদলে দিতে যেখানেই আমার ডাক পড়বে ছুটে যাবো, সর্বোচ্চ মেধা ও আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করবো।’